পিকচার পোস্টকার্ড


প্রচ্ছদশিল্পী : সুকান্ত ও সুস্মিতা


 কী খবর ছোট্ট বন্ধুরা? রাত জেগে খেলা দেখা আর টিভির রিমোট দখলের লড়াই চলছে তো ঠিকঠাক? আর পরদিন ইস্কুলে গিয়ে টিফিনবাক্সে ধাঁই করে লাথি মেরে আগের দিন টিভিতে দেখা নতুন শটটা প্র্যাকটিস করা? সব চালিয়ে যাও মন দিয়ে, ওই শটটা মেরেই দেখবে একদিন নাইন সি কে হারিয়ে দেবে এইট বি-র বন্ধুরা!  তাই বলে নাইন সি-র বন্ধুরা আবার রেগে যেও না যেন! খেলায় হার-জিত থাকেই, আর সে হার-জিতে সিনিয়র জুনিয়র বলে কিছু হয় না। একদিন ছোট-রা জিতলো, আরেকদিন তোমরা জিতবে, এভাবেই এগিয়ে যাবে সামনের দিকে, সবাই মিলে, একসঙ্গে। রাগটাগের কোনও জায়গা কিন্তু খেলার মাঠেও নেই, পরীক্ষার হলেও নেই। স্পোর্টসম্যান স্পিরিটটাই হলো আসল, এর জোরেই হাত ধরে সবাই এগিয়ে যেতে পারবে স্বচ্ছ ভবিষ্যতের দিকে ।

তা, এসবের মাঝে মাঠে নেমে পড়েছে তোমাদের এক নতুন বন্ধু, আলাপ করবে তো তার সঙ্গে? এক্কেবারে নতুন তো, নতুন সবুজ কচি পাতার মতো নরম আর ঝলমলে সে, তার নামটিও অমন, 'ক্রমশঃ কিশলয়', সেজেগুজে সে অপেক্ষায় আছে কখন তোমরা তার কাছে আসবে, পাতা উল্টে খুঁজে খুঁজে নেবে তোমাদের মনের মতো লেখাজোখা, আঁকিবুকি, গপ্পসপ্প, ছড়াটড়া। এবারেই প্রথম তোমাদের মাঝে এসেছে সে। চলো দেখি, কী কী আছে তার ঝুলিতে?

আছে দশখানা মনমাতানো গপ্পের ডালি, আছে পাঁচটি বেজায় মিষ্টি ছড়া, পড়লেই মনে হবে আবার পড়ি, আরও পড়ি, রয়েছে এই মুহূর্তের 'মোস্ট হ্যাপেনিং' থিম ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে আলাদা আলাদা স্বাদের তিনখানা নিবন্ধ, রয়েছে তোমাদের খুব ভালো লাগার মতো তিনটে বিভাগ : ক্যুইজ, ধাঁধা আর তোমাদের নিজেদের ছবি আঁকার পাতা। আর থাকছে 'বই কথা কও', ফুটবল নিয়েই একখানা দুর্দান্ত বইয়ের গল্প নিয়ে দু'চার কথা বলা আছে সেখানে।

কিশলয়কে লেখাজোখা আঁকিবুকি দিয়ে সাজিয়ে তুলেছেন তোমাদের বন্ধুরা, তোমাদেরই জন্য। তাই, বন্ধুরা, সময় করে পড়ে ফেলো স-অ-ব ক'টা বিভাগ, যারা নিজেরা বাংলা পড়তে পারো না, তারা বড় বন্ধুদের, মানে বাবামায়েদের আর কি, বলো পড়ে শোনাতে, দেখবে, সব্বাই মিলে ক্রমশঃ কিশলয়ের বন্ধু হতে অ্যাত্তো ভালো লাগবে, মনে হবে সবার কাছে ছড়িয়ে দিই এই নতুন বন্ধুর খবর।

আমরা, তোমাদের বন্ধুরা অপেক্ষায় রইলাম, কিশলয়কে কেমন লাগলো সেই খবর তোমাদের কাছে জানব বলে। জানিও, নিজেদের আঁকা ছবি, আবৃত্তি পাঠিও, সেইসঙ্গে ক্যুইজ আর ধাঁধার উত্তরও পাঠিও অবশ্যই। খুব ভালো থেকো সবাই মিলে।

9 comments:

  1. অনেক অভিনন্দন। ইনটারনেটে বাংলাভাষায় সুস্থ কিশোরপাঠ্য কন্টেন্ট বাড়ানো ও ছোটোদের জন্য ক্ষতিকর কন্টেন্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আর এক নিঃস্বার্থ সৈনিককে স্বাগত জানাই।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই জয়ঢাক পত্রিকাকে।

      Delete
  2. ভালো উদ্যোগ। বাংলাভাষায় ইতিমধ্যেই কয়েকটি 'ছোটদের জন্য' ওয়েব ম্যাগাজিন আছে। সংখ্যায় আর একটি বাড়লো। কিন্তু যদি এটা শুধু সংখ্যাবৃদ্ধি করে তাহলে আমার শুভেচ্ছা রইল নিয়মমাফিক। কলকাতা , কলকাতা কেন্দ্রিক মফস্বল এবং পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতেও শিশু-কিশোরদের ছাপা ম্যাগাজিন অলভ্য নয়। কিন্তু ওয়েব ম্যাগাজিন পড়বে যারা তাঁদের ঘরে একটি ডেস্কটপ বা স্মার্টফোন থাকা দরকার। এখন সমস্যা হল একটি শিশুতোষ ম্যাগাজিন পড়ানোর জন্য আর পড়বার জন্য ধৈর্য্য এবং বাংলাভাষায় গল্প-কবিতা ও অন্যান্য পড়বার ভাষাগত যোগ্যতা আছে কিনা সন্দেহ জাগে। আর যারা এই ভাষাটির সাতগ্র সহবাস করে , যাদের তেল চিটচিটে চুল আর শিকনি দিয়ে বাংলাভাষা গড়িয়ে পরে তাদের ঘরে সামাজিক অমোঘ নিয়মে ডেস্কটপ বা স্মার্টফোন নেই।
    আর যেসব শিশু-কিশোর বাবা-মায়ের চাকরিগত কারণে বাংলার বাইরে বাস করতে বাধ্য হয় এবং তাদের বাবা-মায়েরা ছেলেমেয়েদের শিকড়ের বন্ধনে বাঁধতে চান তারাও জীবিকাযুদ্ধে ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত হয়ে একটি রচনা পড়াতে পারবেন কিনা সন্দেহ। একটি সত্যি কথা, কঠোর হলেও একটি নির্দিষ্ট সংস্কৃতির ঘেরাটোপে বসবাস করা আর পাঠ করানোর ইচ্ছের মধ্যে বাস করা ,এ দুটি ট্রেনলাইনের মত সমান্তরাল চলতে থাকবে ,দুজনের একত্র মিলন হবে না।
    কোনো শিশুই বাবা মাকে পাঠ করতে না দেখলে পড়বার শিক্ষা পায় না।
    এখন প্রথম সংখ্যায় অভিবাদনের পরিবর্তে এ অবাচ্য বাক্যের উত্থাপন কেন ? এ বড় অসৌজন্যের।
    হতে পারে । সেজন্য উদ্যোক্তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী । নতুন একটা শিশু-কিশোর ওয়েবম্যাগ বের করে তাতে সঙ্গীতা,অনুষ্টুপ,রাজা ভট্চায, সুস্মিতা ,দেবলীনা, মহাশ্বেতা ইত্যাদির লেখা প্রকাশ করে আত্মপ্রসাদ লাভ করা ছাড়া অন্য বিশেষ উদ্দেশ্য যে সাধিত হবে না, এ আমি হলফ করে বলতে পারি।

    উদ্যোক্তারা একটি সমীক্ষা করুন। ইচ্ছামতী,জয়ঢাক সহ সাইটগুলির একটি সমীক্ষা করে দেখুন কতজন শিশু পড়ুয়া।

    তবে কি আমাদের কোনো প্রয়াস থাকবে না ? নিশ্চয়ই। আমি দু'একটি প্রস্তাব রাখছি।
    ১. পত্রিকাকে আজকের সময়ের মত সাজাতে হবে। যেগুলি তারা চোখের সামনে দেখছে সেইসব বিষয়ে আলোকপাত করতে হবে। যে শ্যাওড়া গাছ দেখেনি , ধারণা নেই তাকে শ্যাওড়া গাছের গপ্প শুনিয়ে ভস্মে ঘি ঢালা হবে। পাঠকের শ্রেণীচরিত্র ঠিক করতে হবে। নাকে শিকনি গড়ানো শিশু-কিশোর না গ্যাজেটবন্দী কিশোর !!
    একটি সংখ্যায় অন্তত দশথেকে কুড়িটি লেখা শিশু কিশোরদের হতে হবে। এবং অবশ্যই তাঁদের প্রতি লেখার জন্য সাম্মানিক দেবার ব্যবস্থা করতে হবে। দু একটি অন্যধরণের লেখা দিতে হবে,যাতে তারা আগ্রহভরে তা পড়ে।




    তাই ওদের লেঝা, ওদের আঁজা ওদের জন্য গেম, ওদের জনি খাবার এসবে ভরিয়ে দিন। এর ফাঁকে একটা দুটো অনুষ্টুপ থাক।

    প্রথমদিম এমন লেখা লিখতে চাই নি। কিন্তু আমি মন রাখা কথা বলতে শিখিনি। ধন্যবাদ ।



    ReplyDelete
    Replies
    1. মূল্যবান মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ। কথাগুলো মাথায় রাখার চেষ্টা করা হবে।

      Delete
    2. মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আইজাক সাহা দাদা। পরবর্তীকালে এগুলি আমরা মাথায় রাখব।

      Delete
  3. লেখার তাড়ায় কিছু বানানের অবস্থা কহতব্য নয়। সবটাই প্রযুক্তিগত। ক্ষমা চাইছি।

    ReplyDelete
  4. ভীষণ ভীষণ ভালো। ঠিক এই কারণেই ক্রমশঃ আমার এত কাছের, এত আপন। পেজ হোক বা ব্লগ ক্রমশঃ মানেই একটা আলাদা আনন্দ। খুব দেরী হয়ে গেল ব্লগে আসতে। পড়ে ফেলেছি পুরোটাই এবার এক এক করে মতামত দিচ্ছি। কথা দিচ্ছি যতটা পারব কচিকাঁচা দের মধ্যে ছড়িয়ে দেব এই লেখা গুলিকে। ক্রমশঃ অনেক অনেক এগিয়ে চলুক। অনেক শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা রইল।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ক্রমশঃ কিশলয় আপ্লুত এত ভালবাসা পেয়ে। সঙ্গে থাকিস ভাই।

      Delete
    2. সবসময় আছি দিদি 😊

      Delete