Pages

নাটক : সেলিব্রেশন : অভিনন্দন চক্রবর্তী




মূল চরিত্র : তাতাই, পিউ, আরভ, তাতাইয়ের দাদা বাবাই

।।প্রথম দৃশ্য।।

(তাতাইদের বাড়ির গেট। পিউ মায়ের সঙ্গে এসে দাঁড়ায়।)


পিউ : তাতাই, এই তাতাই, বাড়ি আছিস?

তাতাই (ছাদের ওপর থেকে মুখ বাড়িয়ে) : কে পিউ ? হ্যাঁ হ্যাঁ আয়, এইতো আমি, এই দ্যাখ ওপরে দ্যাখ ছাদে।

পিউ : মা তাতাই আছে বাড়িতে , তুমি চলে যাও। আমি একটু খেলেই চলে আসব বাড়িতে।

(ছাদের দিকে তাকিয়ে) : হ্যাঁ রে, আরভও তো আসবে বলেছিল। কোথায় ও? আজ কিন্তু স্কুলেও আসেনি ও।

তাতাই : ও চলে আসবে এখুনি। তুই ওপরে চলে আয়। দ্যাখ কত্ত ঘুড়ি এনেছে দাদা। ট্রাইকালারও আছে তিনটে।


(পিউ গেট খুলে বাড়ির ভেতর ঢুকে পড়ে। মা ফিরে যান।)


********************


।।দ্বিতীয় দৃশ্য।।

(তাতাইদের বাড়ির ছাদ। একধারে এক বাণ্ডিল ঘুড়ি রাখা আছে, সেগুলোকে নেড়েচেড়ে দেখছে তাতাই, পাশে রাখা আছে একটা চকলেট। পিউ ছাদে উঠে আসে।)


পিউ : ওরে বাবা, কী বড় একটা টিকটিকি দেখলাম সিঁড়ির গায়ে! আরে আরে .... কত্ত ঘুড়ি!!! এত ঘুড়ি দিয়ে কি হবে? তুই পারিস ওড়াতে? আমার বাবা পারে। গত বছর দেখেছিলাম বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে।

তাতাই (চকলেটটা বাড়িয়ে ধরে) : এই নে এটা আগে নে। না রে, আমি তো পারিই না ঘুড়ি ওড়াতে। দাদা এনেছে সব। কাল ১৫ই অগাস্ট, দাদার তো আর কলেজ নেই, তাই সারাদিন ঘুড়ি ওড়াতে পারবে, কি মজা! আমাদের তো স্কুলেই যেতে হবে।

পিউ : জানিস তাতাই, আমার বাবার কাল ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে-তেও ছুটি নেই। মা-ও রাগ করছিল খুব। আচ্ছা ওই ট্রাইকালার ফ্ল্যাগের মতো দেখতে ঘুড়িগুলো দিয়ে কি হবে রে?

তাতাই : ওগুলোও তো ওড়ানো হবে। জানিস দাদা বলে সবার আগে এই ট্রাইকালারের ঘুড়ি।

(ছাদের দরজা দিয়ে আরভকে আসতে দেখে তাতাই।)

তাতাই : আরে ওই তো আরভও এসে গেছে! চল আমরা ওই দিকে গিয়ে বসি। এখানটায় ঘুড়িগুলো রাখা থাক। লাটাই আনতে গেছে দাদা।


(তিনজনে মিলে ছাদের আরেক কোণায় গিয়ে বসে।)


পিউ : আরভ তুই আজ স্কুলে এলি না কেন রে? কাল যাবি তো? কাল খুব মজা হবে। ট্রাইকালার ড্রেস পরে যেতে বলেছে ম্যাম। মা বের করে রেখেছে আমার জন্য একটা চুড়িদার।

আরভ : আজ আমার এক কাকু এসেছিল রে। বাবাও বাড়িতে ছিল। আমরা সবাই আজাদ স্কোয়ারের নতুন মলটায় গেছিলাম। জানিস, কি সুন্দর ফ্ল্যাগ দিয়ে সাজিয়েছে পুরো মলটা! ইণ্ডিপেণ্ডেন্স ডে অফার চলছে সব দোকানে, প্রচুর ডিসকাউন্ট। বাবা আমাকে ড্রেসও কিনে দিয়েছে কালকের জন্য। তুইও কিনেছিস তাতাই?

তাতাই : আমার তো আছেই। মা বের করে দেবে কাল সকালে। আমার একটুও ভালো লাগছে না স্কুলে যেতে কাল। ভাবলাম ছুটির দিন, ঘুমোবো, তা না, সকাল সকাল উঠে স্কুলে চলো। ধুৎ! ট্রাইকালার ঘুড়ির কম্পিটিশনটায় দাদা জিতল কিনা সেটাও দেখতে পাবো না। খুব বাজে এই ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে, ভাল্লাগেনা একদম। তুই আবার বলছিলি পিউ কাল নাকি মজা হবে খুব!

পিউ : এ মা, ছি ছি, ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে-কে বাজে বলতে নেই রে তাতাই। আমি ঠাম্মির কাছে অনেক গল্প শুনেছি, জানিস! তবে খুব বেশি বলেনি। বলেছে বড় হলে আরও বলবে সব গল্প এই ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে নিয়ে। মা বলেছে ঠাম্মির কাছে শোনা গল্পগুলো কাল স্কুল স্টেজেও বলতে।

তাতাই : কি গল্প রে? আমাদেরও বল না পিউ! দাঁড়া আরভ তোর জন্যেও ওই চকোলেটটা নিয়ে আসি। পিউকেও দিয়েছি একটা। তুই তো স্কুলেই এলি না!

পিউ : জানিস, ঠাম্মি বলে, প্রায় দুশো বছর ধরে নাকি ইংরেজরাই আমাদের দেশ শাসন করেছে। শাসক হিসেবে খুব নিষ্ঠুর ছিল ওরা। আমাদের ইন্ডিয়াতেই নাকি ওরা থাকত, নিজেদের সুখসুবিধা পাওয়ার জন্য খুব অত্যাচার করত দেশের লোকদের ওপর। বড় ছোট কাউকেই নাকি ছাড়ত না। ভালো মানুষও ছিলেন অবশ্য কয়েকজন, তাঁরা দেশের মানুষের উন্নতির কথা ভাবতেন, কিন্তু বেশিরভাগ শাসকই ছিলো অত্যাচারী।

আরভ : তারপর তারপর?

পিউ : এখানকার চাষীদের দিয়ে জোর করে নীল চাষ করাতো, কোনও নিউজপেপার, বইতে ইংরেজদের এগেইনস্টে কিছু লিখলে জোর করে সেই পেপার, বই ব্যান করে দিতো, বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে ইচ্ছে করে ঝামেলা বাধাতো যাতে কেউ ওদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে প্রতিবাদ না করতে পারে।

আরভ : শুনেছি নাকি ট্রেনে ইংরেজদের আলাদা কম্পার্টমেন্ট ছিলো? সেখানে ইণ্ডিয়ানরা উঠতে পারতো না?

পিউ : ছিলোই তো! শুধু ট্রেনে কেন, অনেক ক্লাব ছিলো, যেখানে আমাদের দেশের মানুষরা ঢুকতে পেতেন না। বছরের পর বছর এরকম চলার পর আস্তে আস্তে দেশের বিভিন্ন জায়গায় লোকজন একজোট হতে লাগল। ঠিক করল, অনেক হয়েছে, আর নয়, এবার দেশ থেকে ইংরেজদের তাড়াতেই হবে।

তাতাই : আরিব্বাস! পিউ, তুই অনেক কিছু জানিস তো রে!

পিউ (একটু হেসে) : ঠাম্মি গল্প বলে যে মাঝেমাঝেই।

তাতাই : তারপর কী হলো?

পিউ : অনেকেই নাকি নিজের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল এই ইংরেজদের সাথে লড়াই করবে বলে। অনেকে আর ঘরে ফেরেও নি, ইংরেজদের সঙ্গে লড়াইয়ে মারা গিয়েছিল। তাদের মধ্যে বাবাইদাদার মতো কলেজে পড়া ছেলেরা ছিলো, অনেক উচ্চশিক্ষিত মানুষ ছিলেন। দেশের বিভিন্ন গ্রামে শহরে বহু মায়েরাও গোপনে সাহায্য করতেন এইসব সাহসী মানুষদের। তারপর আস্তে আস্তে সব্বাই মিলে তাড়িয়েছিল ওই ইংরেজদের আমাদের দেশ থেকে। ভারত স্বাধীন হয়েছিল।

আরভ : হ্যাঁ হ্যাঁ, খুব যুদ্ধ হয়েছিল, তাই না ? আমি ওই একটা সিনেমায় দেখেছিলাম একবার।


(তাতাইয়ের দাদা বাবাই ছাদে উঠে এসে দাঁড়ায় তিন বন্ধুর মাঝে)


বাবাই : না, ঠিক একটা যুদ্ধ হয়নি। অনেকগুলো ছোট ছোট যুদ্ধ হয়েছিল নানা জায়গায়। তার কোনওটা ছিলো অস্ত্র নিয়ে, রক্ত ঝরানো যুদ্ধ, আবার কোনওটা খুব শান্ত যুদ্ধ, ইংরেজদের কেউ কোনও সাহায্য করবে না, ওদের দেশ থেকে আসা কোনও জিনিস কেউ কিনবে না, এরকম ঠিক করেছিল এদেশের লোক। সেটাও একরকম যুদ্ধ।

তাতাই : আরে দাদা তুই কখন এলি ? লাটাই কই?

বাবাই : এই তো এখন এলাম। ওপরে উঠতে উঠতে তোদের কথা শুনছিলাম। ভাবলাম আমিও বলি কিছু গল্প তোদের। লাটাই নিচে আছে।

পিউ : হ্যাঁ হ্যাঁ শুনব শুনব দাদা তুমি বলো। ঠাম্মির থেকেও শুনেছি গল্প। এবার তোমার থেকে।

বাবাই : পিউ-এর ঠাম্মি যেটা বলেছেন একদম ঠিক। তখন খুব অত্যাচার করত ইংরেজরা। তোদের মতো বাচ্চাদেরও ছাড়ত না। তখনই রুখে দাঁড়িয়েছিলেন আমাদের দেশের অনেকে। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর নাম তো তোরা শুনেইছিস। ছিলেন আরও আরও অনেকে। মাস্টারদা সূর্য্য সেন, বিনয় বাদল দীনেশ, ভগৎ সিং, ক্ষুদিরাম বসু। ক্ষুদিরাম বসুর যখন ফাঁসি হয় তখন তাঁর বয়েস মাত্র ১৮, এই আমার মতো। এঁরা না থাকলে কিন্তু আজও রয়ে যেত ইংরেজরা আমাদের দেশে।

আরভ : আর ওইরকম মারধরও করত বুঝি?

বাবাই : করত তো। যাতে আর কখনও এরকম করতে না পারে ,যাতে সবাই শান্তিতে থাকতে পারে তাইজন্যই তো সবাই মিলে তাড়িয়েছিলেন ওই ইংরেজদের। আরও অনেক গল্প আছে। আরেকটু বড় হলে জানতে পারবি। সেই ১৯৪৭ সালের কালকের দিনে, মানে ১৫ই অগাস্ট আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছিল। ভাব শুধু তোরা, নিজের দেশের মানুষের ভালোর জন্য ওঁরা ঘর ছেড়ে সবকিছু ছেড়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়েছেন। অনেকে ফেরেননি আর ঘরে। কিন্তু করে গেছেন দেশকে স্বাধীন। আজ আমরা এই যে এখানে বসে আছি , এই যে কাল ঘুড়ি ওড়াব আমি, তোরা স্কুল যাবি এই সবই কিন্তু ওঁদের জন্যই। এই সবকিছু মনে রেখে কাল যখন স্কুলে যাবি, দেখবি তখন আর মনে হচ্ছে না যে ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে খারাপ। সবাই মিলে কাল খুব ভালো করে মজা করিস স্কুলে। সব বন্ধুদের বলিস যারা জানেই না কালকের দিনটার মানে কি। পিউ তুইও খুব ভালো করে স্টেজে উঠে বলিস। আমিও কিন্তু ঘুড়ি ওড়াবার আগে ফ্ল্যাগ লাগাবো এখানে ছাদে।

তাতাই : ইণ্ডিপেণ্ডেন্স ডে তাহলে অন্য যেকোনো ছুটির দিনের মতো নয় দাদা? অন্য ছুটির দিনের মতো শুধু হইহই করলে হয় না এই দিন? ফ্ল্যাগ হোয়েস্টিং, স্কুলে যাওয়া, এগুলো সবই ওই যাঁরা দেশের জন্য লড়েছিলেন তাঁদের রেসপেক্ট দেওয়ার জন্য?

বাবাই (তাতাইয়ের পিঠ চাপড়ে দিয়ে) : এইত্তো, সোনা ভাই, ঠিক বুঝতে পেরেছে ইণ্ডিপেণ্ডেন্স ডে-র মানে। স্বাধীনতা দিবসে শুধু শপিং মল আর রাস্তা পতাকা দিয়ে সাজালেই হয় না, ডিসকাউণ্টেড প্রাইসে জামাকাপড় কিনলেই হয় না, যাঁরা আমাদের দেশকে স্বাধীন করার জন্য নিজেদের জীবন দিয়েছেন, তাঁদের স্মরণ করাই স্বাধীনতা দিবস পালনের আসল উদ্দেশ্য রে, যাতে আমরা ভুলে না যাই কত কষ্টে আমরা আজ এখানে পৌঁছেছি।

আরভ : জানো দাদা, আজ ওই মলটা থেকে আসার সময় একটা বাচ্চা অনেক ফ্ল্যাগ নিয়ে এসেছিল গাড়ির সামনে। টুপিও ছিল। বাবা অনেকগুলো ফ্ল্যাগ কিনে দিয়েছে আর বলেছে কাল সবাইকে একটা করে দিতে স্কুলে গিয়ে।

পিউ : হ্যাঁ আমার বাড়িতেও আছে একটা বড় ফ্ল্যাগ। ঠাম্মি বলেছে কালকের দিনটা গেলেই যেন আবার ফ্ল্যাগগুলো ফেলে না দিই। আর স্কুলের কেউ যেন রাস্তায় ফ্ল্যাগ না ফেলে। দেখলেই তুলে নিতে বলেছে ঠাম্মি।

বাবাই : একদম তাই। ফ্ল্যাগ কখনও ফেলে দিতে নেই, আর এটাও তোরা সবাই কাল দেখিস কেউ যেন উলটো ফ্ল্যাগ না লাগায়। আর আরভ তুইও বলে দিস এটা কাল স্কুলে সবাইকে ফ্ল্যাগ দেওয়ার সময়। খুব ভালো করেছিস ওই রাস্তার বাচ্চাটার থেকে ফ্ল্যাগ কিনে। ফ্ল্যাগ বিক্রির টাকাগুলো দিয়ে ওদেরও অনেক উপকার হবে।

তাতাই : কিন্তু দাদা তুই একটা ট্রাইকালার ঘুড়ি প্লিজ রেখে দিস। বিকেলবেলা আমি আসার পর ওটা ওড়াস, আমি দেখবো।

বাবাই : আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে, কিন্তু তুই তো বলছিলি কাল যাবি না স্কুলে, যাবি নাকি?

তাতাই : হ্যাঁ হ্যাঁ যাব যাব। খুব মজা হবে। ফ্ল্যাগ তোলার পর সবাইকে এই গল্পগুলো বলতেও তো হবে। এই আরভ, পিউ কালকেও তোরা আসিস আমার বাড়িতে। ওই ট্রাইকালার ঘুড়িটা ওড়াবে দাদা। দেখবো আমরা।

পিউ : কাল স্কুলেও কিন্তু একসাথে যাব আমরা। জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় তুই আবার ওইদিনের মতো পিছনে দাঁড়াস না আরভ। একসাথে দাঁড়াবো কাল তিনজন।

বাবাই : আচ্ছা আচ্ছা, বল তো তোরা, এই আমাদের জাতীয় সঙ্গীত 'জন গণ মন অধিনায়ক জয় হে' কে লিখেছেন ? যে পারবে তাকে আমি আরও একটা চকোলেট এনে দেব।

(তিন বন্ধুতে সমস্বরে) : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

তাতাই : দাদা আমি বলেছি কিন্তু আগে।

পিউ : না না দাদা সবার আগে আমি বললাম তো।

বাবাই : আচ্ছা আচ্ছা সবাই বলেছিস তোরা, ঠিক! আমি তিনজনের জন্যেই নিয়ে আসছি চকোলেট, তারপর তোদের নিচে নিয়ে গিয়ে দুটো খুব সুন্দর গান শোনাবো, যেটা তোরা বড় হয়ে আরও অনেকবার শুনবি।

আরভ : কি গান দাদা?

বাবাই : 'উঠো গো ভারতলক্ষ্মী' আর 'ধনধান্যপুষ্পভরা'।

পিউ : হ্যাঁ হ্যাঁ, ধনধান্যে আমি শুনেছি আগে, ঠাম্মি গেয়ে শোনায়।

বাবাই : বাহ্ খুব ভালো। যাই আমি নিচে গিয়ে চকোলেট আনি। তোরা ততক্ষণ এক কাজ কর দেখি। তিনজন মিলে একবার জাতীয় সঙ্গীত একসাথে গেয়ে প্র্যাকটিস করে নে কালকের জন্য। জাতীয় সঙ্গীত কিন্তু সবসময় উঠে দাঁড়িয়েই গাইতে হয়, জানিস তো?

তাতাই : হ্যাঁ দাদা, তুই শিখিয়েছিলি এটা আমায়। চল পিউ, আরভ শুরু করি একসাথে। ওই সাম্যদের মত গাইব না। ওরা খুব দুষ্টুমি করে। সবসময় আলাদা আলাদা গায়। পিউ তুই এই এইখানে আয় , হ্যাঁ ঠিক আছে। আরভ রেডি তো ? চল তাহলে ওয়ান ..... টু ...... থ্রি ......


(সকলে একসঙ্গে গেয়ে ওঠে) : জনগণমন অধিনায়ক জয় হে .........


(সমাপ্ত)


অলঙ্করণ : দেবলীনা দাস

7 comments:

  1. কত্তো সুন্দর করে একদম ছোটদের মতো করে স্বাধীনতা দিবস কি, সেটা বোঝানো হয়েছে। খুব ভালো লাগল।

    ReplyDelete
  2. দেবলীনা দি কে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর আঁকা টার জন্য। 😊

    ReplyDelete
  3. অনেক সময় দেখা যায়, বড়রা নয়, ছোটরাই কিছু জিনিসের আসল অর্থ ধরে ফেলে খুব তাড়াতাড়ি, যদি বোঝানোর মাধ্যম তোর লেখার মত সহজ সরল হয়। এই লেখা পড়ে শুধু ছোটরা নয়, তাদের মাধ্যমে বড়রা যারা এই দিনের মাহাত্ম্য বিস্মৃত হয়েছে তারাও নতুন ভাবে ভাবতে শিখুক, ওই প্রার্থনা করি। অসাধারণ লাগলো, দেরী করার জন্যে এই কান মুলছি 😛

    ReplyDelete
  4. অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। 😊😊

    ReplyDelete
  5. এমা না না কান মুলতে হবেনা 😁

    ReplyDelete