সারা শরীর টানটান অ্যালার্ট ছিল, মোড় ঘুরতেই চোখের কোণে দূরের নড়াচড়াটা ধরা পড়ে যায়। অমনি রুবাই নিখুঁত নিশানায় গুলিগুলো পর পর বিঁধিয়ে দেয়। কালো পোশাকের লোকটা দুমড়ে মুচড়ে পড়ে চোখের সামনে। রুবাইয়ের সারা শরীর জুড়ে চোরা উল্লাস পাক খেতে খেতে ছড়িয়ে পড়ে।
ইয়েস!
এই লেভেলটায় গত তিন দিন ধরে আটকে ছিল।
"এখনো উঠিসনি!"
রাগে মাথা জ্বলে যায় রুবাইয়ের। মা কিছুতেই নক করে ঘরে ঢোকাটা শিখবে না। একটা তেরো বছরের ছেলের যে জীবনে কিছু প্রাইভেসি লাগে সেটা কিছুতেই বলে বোঝাতে পারছে না মাকে।
"আমি বেরোচ্ছি, বাজার যাচ্ছি। তুই ওসব ছেড়ে এবার পড়তে বোস বাবু! দেখছিস তো কী অবস্থা হচ্ছে!"
ব্যস। তিনদিনের লাগাতার একাগ্রতায় শেষ অবধি লেভেল টপকানোর আনন্দ মুহূর্তে উধাও।
বিছানা থেকে উঠে পা টেনে টেনে পড়ার টেবিলের দিকে যায় রুবাই। ব্রেকফাস্টের লুচি কপিচচ্চড়ির স্বাদ এই একটু আগে অবধি জিভে লেগে ছিল, এখন শুধুই একটা তিতকুটে ভাব। ঢকঢক করে জল খেয়েও সে তিক্ততা যায় না।
ধপ করে চেয়ারে বসে অঙ্ক বইটা টেনে নেয় সে। অমনি, গন্ধটা, খুব তীব্র হয়ে নাকে ঢোকে। শরীর অস্থির লাগে।
খুব চেনা গন্ধ, কিন্তু কিছুতেই মনে পড়ে না কিসের।
এই নিয়ে তিনবার হ'ল কাল থেকে।
---------------------
কাল ঘুম থেকে উঠেছিল দেরিতে। বাবার ততক্ষণে ব্রেকফাস্ট প্রায় শেষ, কাগজ হাতে বসে আছে। বাবা-মা দুজনের মুখই কেমন গম্ভীর।
প্রথমে ভেবেছিল উঠতে দেরি করেছে বলে। এরা যে কী বিরক্তিকর! ছুটির দিন, একটু তো আয়েশ করাই যায়। তারপর ফ্রেঞ্চ টোস্টে সস ঢালতে ঢালতে খেয়াল হল, আজ ৯ তারিখ। আজই রেজাল্ট মেইল করবে বলেছিল স্কুলটা। বুকটা একটু গুড়গুড় করে উঠেছিল। সবকটা অঙ্ক চেনা প্যাটার্নের ছিল না। ইংলিশটা নিয়ে ভাবে না, কিন্তু অঙ্কগুলো...
কারো মুখেই কথা নেই। শেষে আর থাকতে না পেরে, দুধের গ্লাসে চুমুক দিয়ে জিজ্ঞাসা করেই ফেলল, "রেজাল্ট এসেছে, মা?"
ব্যস! বাবা কাগজটা হাতে নিয়ে বোধহয় এই অপেক্ষাতেই ছিল। প্রশ্নটা শোনামাত্র ফেটে পড়ল।
"এতক্ষণে সেটা তোমার হুঁশ হচ্ছে? বাবা এত দৌড়াদৌড়ি খাটাখাটনি করে মরছে আর তুমি খেলে ঘুমিয়ে ফুর্তি করে বেড়াচ্ছো, লজ্জা করে না?"
চিবোনো থেমে যায় রুবাইয়ের।
"ফেল করেছো, বুঝলে? সেনগুপ্ত বাড়ির কোনও ছেলে যা করেনি কখনো। শুধু যে পাশের নম্বর পাওনি তাই নয়, লিস্টে সবার শেষে তোমার নাম, সবচেয়ে কম স্কোর - ছি ছি ছি..."
আর গলা দিয়ে কিছু নামতো না রুবাইয়ের। উঠে পড়ে হাত মুখ ধুয়ে নিজের ঘরে ফিরে গিয়েছিল।
এই প্রথমবার মা বলেনি, "খাওয়াটা শেষ করে যা"।
সেই তখন গন্ধটা পেয়েছিল রুবাই। টেবিল ছেড়ে উঠে দাঁড়াতেই একটা পোড়া পোড়া ধোঁয়া ধরা গন্ধে নাকের দুই ফুটো জ্বালা করে উঠেছিল।
-----------------
তখন এ নিয়ে মাথা ঘামানোর অবস্থা ছিল না। মারকাটারি না হলেও, নেহাৎ খারাপ স্টুডেন্ট তো নয় ও! পরীক্ষাও তো ভাল দিয়েছিল বলেই ওর ধারণা। আর স্কুলটা তো এমন ভালো ফ্যামিলির ছেলেকে নিতে মুখিয়ে আছে বলেই মনে হয়েছিল, টেস্ট তো জাস্ট ফর্ম্যালিটি, বলেছিলেন এক্স্যামের ইন-চার্জ ভদ্রলোক। তাঁর থেকে সিলেবাস নিয়ে এসে রোজ টাস্ক দিয়ে প্র্যাক্টিস করিয়েছে মা।
তাহলে এমন হয় কী করে?
রাগটা গোঁত্তা খেয়ে গিয়ে মা আর বাবার ওপরেই গিয়ে পড়ে। সে তো সব টাস্কই রোজ প্র্যাকটিস করেছে গত সাত দিন। এমনকী টাস্ক শেষ না করে গেমও খেলেনি এই ক'দিন। শেষ দুদিন পার্ফেক্ট আন্সার শীট জমা দিয়েছে!
তাতেও যদি না হয়, তাহলে নিশ্চয় সেগুলোই যথেষ্ট ছিল না! আরো কিছু ছিল হয়তো যা মিস হয়েছে।
আর এরা এমন করছে যেন সবই তার দোষ। হিংস্র ভাবে গেমিং কনসোলটা তুলে নিয়েছিল রুবাই, তারপর ডুবে গিয়েছিল তার স্ক্রিনে। যেটুকু শান্তিতে থাকা যায়!
দুর্গের নিচের চোরাকুঠুরিগুলোয় ঘুরতে ঘুরতে গন্ধটার কথা, পরীক্ষার কথা সবই মাথা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল ওর।
-------------------
দ্বিতীয়বার গন্ধটা পেল সন্ধ্যাবেলা।
সকালের রাগারাগির জের চলছে তখনো। দুপুরে নামমাত্র ভাতের পাতে বসেছে সে। মায়ের এই টানা চুপ করে থাকাটা ওকে ভিতরে ভিতরে টেনশনে ফেলে দিয়েছে বেশ, এত বছরে এমন সিরিয়াস অবস্থা সে দেখেনি। তবু, ওর নিজের রাগও পড়েনি এদের ওপর।
এখন যে স্কুলে পড়ছে সেটার রেজাল্ট গত তিন বছর লাগাতার সাদামাটা, লোককে ডেকে ডেকে বলার মতো কিছু হচ্ছে না। সেজন্যই বাবা চেয়েছিল এই নামী ও দামী স্কুলটায় ট্রান্সফার হোক। এখন সেভেন, এখনই না করলে পরের বছর আর পারবে না।
পাশের বাড়ির ডোডো ওখানে পড়ে। ডোডোর মা রমা আন্টি, সামনের ফ্ল্যাটের দত্ত আঙ্কল, সবাই বলেছিল আরামসে হয়ে যাবে, ওরা নেওয়ার জন্য মুখিয়েই থাকে। ডোনেশন দিতে পারলেই হয়ে যায়। ও-ও ভেবেছিল হয়ে যাবে। ভেবেছিল তো পরীক্ষা ভালো হয়েছে। ভালো হয়েইছিল তো!
তবু।
ফেল। বটম লাস্ট। ভাবলেও কেমন মুখ চোখ গরম হয়ে উঠছে আগুনের হল্কার মত।
মন ভাল করতে কাল ভাত খেয়ে এসে আবার খেলতে লেগে গিয়েছিল, তারপর কখন যেন ঘুমিয়ে পড়েছে।
ঘুম ভাঙল বেশ লেটে। উঠে মায়েদের ঘরের বাথরুমটায় ঢুকেছিল রুবাই। বসে বসেই টের পেল বাবা ফিরে এসেছে।
বাবার গলা এমনিতে চড়া না। কিন্তু স্পষ্ট। প্রতিটা শব্দ ওর কানে এসে আছড়ে পড়ছিল।
“খাচ্ছে না তো আমি কী করব? ফেলু ছেলেকে নিয়ে আদিখ্যেতা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এত কষ্ট করে ধরে করে লাস্ট মোমেন্টে লিস্টে নাম ঢোকালাম, স্ট্রেট ফরোয়ার্ড এক্সাম তাও ক্লিয়ার করতে পারে না! এ ছেলের ডোনেশনের জন্য লোন নিচ্ছি! বাদ দাও, ওর দ্বারা কিচ্ছু হবে না।”
রুবাই বসেই থাকে।
যদি অন্য কোথাও চলে যাওয়া যেত! এত একা কোনোদিন লাগেনি আগে।
ঠিক তখনই বাথরুম আচমকা ঐ গন্ধটায় ভরে ওঠে। দম আটকে আসার মত তীব্র, ভলকে ভলকে আসা গন্ধ, তাড়াতাড়ি দরজা খুলে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয় সে।
বেরিয়েই বাবা ছেলে মুখোমুখি হয়ে যায়। দুজনের কেউই এক পলকের বেশি অন্যজনের চোখে চোখ রাখতে পারে না।
বড় বেশি রাগ অন্যজনের চোখে।
রাগ? নাকি ঘেন্না?
-------------------
সকালে বাবা বেরিয়ে যাবার পর ঘর থেকে বেরিয়েছে আজ। ইচ্ছে করেই। রাগটা রাত্রে ঘুমিয়ে কমেনি, বরং বেড়েছে।
মা নিশ্চয় পড়াতে পারেনি ঠিকমতো। বাবাও তো একটু দেখে দিতে পারত! রোজ রাত ন'টা অবধি কাজ থাকে কেন? কই দত্ত আঙ্কলের তো থাকে না, সন্ধেবেলা মিষ্টিদিদিকে কোচিং-এ দিয়ে আসে নিয়ে আসে তো।
মায়ের দোষ। বাবার-ও। রুবাই ওর যা করার করেছিল। কিন্তু এখন ওদের চোখে ও-ই দায়ী।
অসহ্য!
মন বসছে না।। গোটা চারেক প্রবলেম সল্ভ করল। উত্তর মিলিয়ে দেখতেও উৎসাহ পেল না, খাটে ফেরত চলে গেল। হালকা খিদে পাচ্ছে যেন। মা এলে বলবে একটা ওমলেট করে দিতে।
“রুবু! তুমি এখনো শুয়ে আছো? কী বলে গেলুম বল তো!”
মা কখন ফিরেছে শুনতেই পায়নি। এই খেলাটা এমন মগ্ন করে রাখে! যাক, তুই-এ নেমেছে মানে রাগ পড়েছে মায়ের।
কী মুশকিল! তাই বলে কান্নাকাটির কী হ’ল? মায়ের চোখের নিচে স্পষ্ট জলের দাগ। শুকিয়ে গেছে, কিন্তু ওর চোখকে ফাঁকি দেওয়া অত সহজ নয়।
মানে, ঠিক আছে, একটা স্কুলে আছে তো এখন – এমন তো নয় পড়া ঘুচে গেল!
ওর পাশে খাটে বসে পড়ে মা। ধরা গলায় বলে, “বাজার সেরে ফেরার পথে একবার ঘুরে এলাম বুঝলি। অনেক করে বললাম, খাতা আনতে তো দিল না, কিন্তু দেখালো। ফোটো তুলে এনেছি দ্যাখ। এতগুলো সহজ জানা জিনিস ভুল করলি কী করে বাবু?”
রুবাই মায়ের ফোনে এক এক করে দেখে। আরে, এটা তো ৭ হয়, ও ১ লিখেছে কেন যোগ করে? এ বাবা, এই অঙ্কটা তখন বুঝতে পারেনি, এটা তো মাল্টিপ্লাই করার ছিল আরেকবার ব্যস! ইশ! এটা…এটা তো ঠিকই আছে, তাহলে?
পরের ছবিটায় গিয়ে আর কিছু বলার মতো খুঁজেই পায় না। পুরো অঙ্ক ঠিক করে, শেষ লাইনে ডেসিমেলের পর একটা ডিজিট স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে। কেন, জানে না।
ইংলিশ পেপারও! এই বানানগুলো ও ভুল করেছে! নিজের হাতের লেখা না হলে বিশ্বাস হ’ত না রুবাইয়ের যে এটা ও করতে পারে। কিন্তু এখন অস্বীকার করে কেমন করে, এই তো পরিষ্কার জ্বলজ্বল করছে ছবির পর ছবিতে, লাল কালি দিয়ে গোল করা।
সহজ। জানা জিনিস।
“আমারই হয়তো আরো দেখা উচিত ছিল এ ক'টা দিন … কী জানি, তোর বাবা যে এত কথা বলছে এম এ ডিগ্রি হয়েও সামান্য সেভেন এর পড়া তৈরি করাতে পারছি না ছেলের … ভুল কী বলছে বল!”
কী ভাঙাচোরা শোনায় মায়ের গলাটা।
এই প্রথম, ফেল করার জন্য লজ্জা দুঃখ রাগ ছাপিয়ে একটা কষ্ট ছড়িয়ে পড়ে রুবাইয়ের বুকে। মাকে কী ভীষণ বেচারী লাগছে দেখতে, উঠে যেতে যেতে আপনমনে বলছে, “কী করি বল, আমি যে তোর দিদুনের মত সবদিক সামলে উঠতে পারি না, রান্নাবান্না বাজার দোকান সবই তো ছিল, আমি আর পেরে উঠিনি, তোকে হয়তো আরো সময় দিতে হ’ত রে…”
দিদুন?
গন্ধটা ধাঁ করে মনে পড়ে যায়।
ছোট্ট রুবাই বারান্দার চেয়ারে বাবু হয়ে বসে আছে। সামনে মাটিতে দিদুন বসেছে একটা এতবড় কাপড় সামনে ছড়িয়ে। তাতে লতা পাতা আঁকা। পাশে স্টোভে অ্যালুমিনিয়ামের বাটিতে মোম গলছে। বাটি নামিয়ে গলানো মোম তুলির দ্রুত টানে কাপড়ের ডিজাইনে বুলিয়ে দিচ্ছে দিদুন। শুকিয়ে গেলে রঙ এ চোবাবে। সাদা কাপড়ে রঙ ধরবে, শুধু মোমে ঢাকা জায়গাগুলো সাদা থেকে যাবে।
পুরো সাদা নয়, মোম ক্র্যাক হবে নাড়াচাড়ায়। সেই ক্র্যাক দিয়ে রঙ চুঁইয়ে ঢুকে আঁকিবুঁকি কাটবে সাদার মধ্যে। তারপর শুকিয়ে গেলে মোম তুলে ফেলা হবে, অমনি অপূর্ব কারুকার্য।
বাটিক। শাড়িটা মা এখনো পরে মাঝেমধ্যে। সেই মোম-গলানো স্টোভের ধোঁয়ার গন্ধ এটা।
দিদুনের চোখ শেষদিকে খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। শিরা শুকিয়ে যাচ্ছিল, তার নাকি কোনও চিকিৎসা ছিল না। রুবাইয়ের আট বছরের জন্মদিনের পাঞ্জাবিটাই শেষ বাটিক দিদুনের। স্টোভটা নিভিয়ে বলেছিল মাকে, "প্যাক করে ওপরে তুলে দিস তিন্নি, আর এসব লাগবে না।"
কাঁথাস্টিচের ফোঁড় তোলা বন্ধ। দুপুরবেলার সেলাই মেশিনে বসে পর্দা সেলাই বন্ধ। বই পড়া বন্ধ। প্রায় কিছুই দেখতে পেত না শেষ কয়েক মাস।
হার্ট অ্যাটাকের খবরটা আসার আগে শেষ যেবার গিয়েছিল ডানলপের বাড়িতে, দিদুন বারান্দায় বেতের চেয়ারে বসতো রোজ সকালে। কোলে নেভি ব্লু উলের বল, অভ্যাসে মুখস্ত হয়ে যাওয়া প্যাটার্নে হাত চালানো, হাতড়ে হাতড়ে ওর পিঠ বগলের মাপ নেওয়া।
"কী করে পারো দিদুন? না দেখে?"
"প্র্যাকটিস, দাদুভাই। প্র্যাকটিস। প্র্যাকটিস আর ইচ্ছে। এই দুটো দিয়ে সব সম্ভব হয় গো, বুঝলে?"
এখন গায়ে ছোট হয়ে গেছে, স্কুলে পড়েছিল সে বছর সোয়েটারটা।
স্কুল। টেস্ট। ফেল।
কী করে এই এতগুলো ভুল ও করল!
কানের কাছে উত্তরটা স্পষ্ট শুনতে পায়। গলাটা ওর নিজের, কিন্তু বলছে যেন দিদুন।
"জানো না, দাদুভাই? মন কোথায় থাকত তোমার বলো তো? মা টাস্ক দিয়ে রান্নাঘরে ফিরে গেলেই ওই যন্তরটা মনে মনে হাতে তুলে নিতে না? কোনওরকমে লেখা শেষ করে খেলায় ফিরে যেতে প্রাণ হাঁপাত না? নিজে নিজেও তো একটু বই থেকে পড়তে পারতে, করেছিলে?"
কাকে মিথ্যে বলবে রুবাই? নিজেকে?
পরীক্ষার হলে বার বার গেমটার কথা মনে পড়ছিল তো! খালি মনে হচ্ছিল এটা হয়ে গেলেই মুক্তি, বাকি পুরো ছুটিটায় সারাদিন ধরে খেলে সব লেভেল ক্রস করে ফেলবে ও।
এতগুলো ভুল কী করে হ'ল, ও জানে।
উঠে, গেমিং কনসোলটা আলমারিতে তুলে দেয় রুবাই। রোববার সকালে বাবার সঙ্গে এক ঘন্টা ছাড়া ওটা আর বেরোবে না, বাড়িতে গেস্ট এলেও না।
বিছানার চাদর টান টান করে পাতে। টেবিলের বইগুলো গুছিয়ে নিয়ে জুত করে বসে।
স্কুল কেন যেন পাল্টাচ্ছিল বাবা? ওর স্কুল লোককে ডেকে বলার মত রেজাল্ট করতে পারছিল না বলে, তাই না?
দেখা যাক। তিন বছর সময় আছে ওর হাতে। প্র্যাকটিস করার জন্য যথেষ্ট সময়।
অঙ্ক বই আর খাতা নিয়ে ঠিক সেই একাগ্রতায় ঝুঁকে পড়ে রুবাই, যা দিয়ে একটু আগেই ওই গেমের কঠিন লেভেলটা পেরিয়ে গিয়েছিল।
এই লেভেলটাও পারবে, ও জানে।
(সমাপ্ত)
অলঙ্করণ : সুস্মিতা কুণ্ডু
আহা অপূর্ব। রুবাই এবার ঠিক পারবে।
ReplyDeleteছেলে না রেগে গেলো !! বলল এই গল্পটা আমি বানিয়ে বানিয়ে বলছি। তারপর যখন দেখালাম, একটু পড়েই পালিয়ে গেলো। এখন মানেটা বুঝলে হয়।
ReplyDeleteখুব সুন্দর গল্প।
আমিও রুবাইয়ের মতো চেষ্টা চালাচ্ছি ...একাগ্র হয়ে বই পড়ব, কাজকর্ম করব , নেট থেকে দূরে l পারতেই হবে আমাকেওl
ReplyDeleteদারুণ গল্প! সত্যি-সত্যি দারুণ গল্প। হ্যাটস অফ।
ReplyDeleteনিজেকে ফিরে পাওয়ার আশা।
ReplyDeleteবাহ্ বেশ বেশ। এগিয়ে যাও রুবাই, তুমি পারবেই।
ReplyDeleteবাহ্।
ReplyDelete