এক যে ছিল ছোট্ট ভূতু, বটগাছে তার বাসা।
ঝাঁকড়া চুলে ভর্তি মাথা, দুষ্টুমিতে ঠাসা।
নাড়িয়ে ঝুঁটি, দুলিয়ে মাথা, বটের ঝুরি ধরে
খায় সে দোলা, মনখানা তার কোন আকাশে ওড়ে।
শেলেট পুঁথি বাক্সে ভরে গাঁয়ের ছেলেমেয়ে
ইশকুলে যায়, ভূতুমছানা তাকিয়ে দেখে চেয়ে।
মায়ের কাছে বায়না ধরে, আমিও যাব স্কুলে,
ধারাপাতের বই কিনে দাও, পড়ব দুলে দুলে।
বইও আসে খাতাও আসে, আসে কলম কালি;
নাচেন ভূতু আনন্দে আর বাজান হাতে তালি।
বাবার আঙুল ধরে ভূতুম পৌঁছল পাঠশালা -
পড়তে বসে ঘুম পেয়ে যায় - এইটে বড় জ্বালা।
সারাটি রাত ধরে ভূতের নাচনকোঁদন চলে,
সকাল কাটে হাই তুলে তার রাতে জাগার ফলে।
অ আ ক খ’র পাঠের মাঝে যেই পড়েছে ঢুলে,
গুরুমশাই বিশাল হেঁকে টান দিয়েছেন চুলে।
যোগবিয়োগে মন বসে না, সদাই উড়ু উড়ু,
অঙ্ক খাতায় ভুল বেড়ে যায়, চক্ষু পাকান গুরু।
সটান শুয়ে ঘুমোন ভূতু বেঞ্চিখানার 'পরে।
এই খেয়েছে, গুরুমশাই মারতে আসেন ধ'রে!
“দুত্তেরিকা” - বলে ভূতুম ঘরপানে দেয় হাঁটা -
“নয়কো সহজ পড়াশুনো। গুরুমশাই, টা টা।”
ভূতুর বাবার নানান রকম ফন্দি ছিল জানা -
নাইট স্কুলে ভর্তি হল ভূতের যত ছানা।
“ইচ্ছে হলেই উপায় থাকে”, বলেন হেসে গুরু,
সে রাত থেকেই ভূতুমছানার পড়াশুনোর শুরু।
অলংকরণ : দেবলীনা দাস
কী মিষ্টি কী মিষ্টি!!! ������
ReplyDeleteকি মিত্তি কি মিত্তি 😊😊
ReplyDeletekhub sundor...khubb valo legeche amar...meyek sonachi...
ReplyDelete