কেমন আছো ছোট্ট বন্ধুরা? লাল নীল সোয়েটার আর মাফলারের ফাঁক গলে শীতের হিমেল হাওয়ার সাথে লুকোচুরি কেমন লাগছে? চুপিচুপি একটা রহস্য ফাঁস করি? ছাদে বা ঝুলবারান্দায় দুপুরের নরম রোদে পিঠ ডুবিয়ে বসে অঙ্ক কষতে ছবি আঁকতে আর গপ্পের বই পড়তে কিন্তু ভারি মজা লাগে।
এবার বলো দেখি শীতের কোন খাবারটা তোমাদের সবচেয়ে প্রিয়? পিঠে পাটিসাপটা নাকি কেক? আমাদের অবিশ্যি সবগুলোই ভালো লাগে। আর সবথেকে বেশি কী ভালো লাগে জানো? চড়ুইভাতির খিচুড়ি, বাঁধাকপির তরকারি আর চাটনি। হি হি হি!
কী বললে? তোমরা এই বছর এখনও চড়ুইভাতি করোনি? সেকী! আর একদম দেরি নয়। শিগগির বাড়ির বড়দের রাজি করিয়ে একটা সুন্দর জায়গায় গিয়ে পিকনিক করে চলে এসো দেখি। আর তা যদি না হয় তবে ক্ষুদে বন্ধুরা মিলেই বাড়ির ছাদে জমিয়ে করে ফেলো চড়ুইভাতি। তবে হ্যাঁ যেখানেই হোক না কেন, পরিবেশ পরিষ্কার রাখতে ভুলো না যেন। নোংরা ময়লা সব যথাস্থানে ফেলো, কেমন?
সান্টা ক্লজের থেকে অনেক উপহার নিশ্চয়ই পাওয়া হয়ে গেছে? কিছু উপহার তোমরাও তাদের দিও যাদের উপহার কেনা হয়ে ওঠেনি। ভাগ করে নিলে আনন্দ দুইগুণ হয়ে যায়, তাই না ছোট্ট বন্ধুরা? ঠিক সেই কারণেই আমরাও এসেছি আমাদের গল্পের ঝুলি তোমাদের সাথে ভাগ করে নিতে। শীতের হইহুল্লোড়ের সাথে সাথে কিশলয়ের ডালিতে সাজানো গল্প-ছড়া-ধাঁধা-আঁকিবুকি-ক্যুইজের ভাণ্ডারে উঁকি দিতে ভুলো না যেন।
আজ এটুকুই... সক্কলে ভালো থেকো, ভালো রেখো.
প্রচ্ছদশিল্পী : স্বর্ণদ্বীপ চৌধুরী
No comments:
Post a Comment