গল্পের ঝুলি : ইয়োনাগুনির বন্ধু : দেবদত্তা ব‍্যানার্জী


ভীষণ জোরে বাজ পড়ার শব্দে কেঁপে ওঠে মিশুকা, একবার মনে হয় ওদের ঘরটাই বুঝি ভেঙ্গে পড়ল। ধড়মড়িয়ে উঠে বসে বাইরে তাকায়, প্রবল ঝড় বৃষ্টিতে চারপাশ লন্ডভন্ড, বাইরের গাছগুলো যেন ভেঙ্গে পড়বে এখনি। আবার আকাশের বুক চিরে এক রুপালি ঝিলিক, কে যেন কেটে দিল আকাশটাকে।
অকামা মাছ ধরার ছোট নৌকাটা নিয়ে দু'দিন আগে সমুদ্রে গেছে। তারপর আজ বিকেল থেকে এমন দুর্যোগ। মিশুকার বড্ড ভয় করে। অকামা ছাড়া ওর যে আর কেউ নেই।


রিইউকি দ্বীপে ছিল ওদের ছোট্ট ছবির মত বাড়ি। বাবা ছিল ডুবুরি, মা একটা রেস্টুরেন্ট চালাত। আর দাদু ওদের নিয়ে মাছ ধরতে বের হত মাঝে মাঝে। একবার প্রবল ভূমিকম্পের পর সুনামিতে ওদের ছবির মত সুন্দর গ্ৰাম ভেসে গেল। বাবা মা কোথায় হারিয়ে গেল। গ্ৰামের যে কয়জন বেঁচে ছিল শহরে চলে গেল। আর দাদুর হাত ধরে ওরা দুই ভাই বোন দ্বীপের এধারে চলে এল। শহরে ওদের কেউ ছিল না যার কাছে যাবে। তারপর দাদু মাছ ধরেই সংসার চালাত। গতবছর দাদুও চলে গেল এক ঝড়ের রাতে। তারপর থেকে ওর দাদা অকামা একাই যায় মাছ ধরতে। মিশুকার প্রথম প্রথম একা একা ভয় করত। দ্বীপের এদিকটা বড্ড ফাঁকা। তেমন লোকজন নেই। অকামা মাছ ধরে পাশের একটা দ্বীপের বাজারে বিক্রি করে প্রয়োজনীয় বাজার করে ফেরে। মিশুকা ওর পথ চেয়ে বসে থাকে। পুরো দ্বীপটায় লোক বসতি বড্ড কম। স্কুল নেই বলে ওরা আর স্কুলে যায় না। মাঝে মাঝে কিছু টুরিস্ট আসে ওদের গ্ৰামে ঘুরতে। ইয়োনাগুনি দ্বীপটা পাশেই। সেখানে যায় টুরিস্টরা। অকামা তখন গাইডের কাজ করে।

মিশুকা অকামার কাছে শুনেছে ইয়োনাগুনি দ্বীপের গল্প। রিইউকি দ্বীপের দক্ষিণে সমুদ্রের নিচে এ এক আজব পাথুরে শহর, দাদা গল্প বলেছিল। সেখানে নাকি পাথুরে পিরামিড, বড় থামওয়ালা বড় দেওয়াল, মানুষের খোদিত মুখ এসব রয়েছে। অনেকেই বলে বহুবছর আগে ঐ অঞ্চল ছিল পৃথিবীর ওপরে। কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলে পড়ে সমুদ্রের নিচে হারিয়ে গেছে ঐ ইয়োনাগুনি। 

পৃথিবীর সেরা সেরা ডুবুরিরা এই জায়গাটিতে যেতে ভয় পান। আপাতশান্ত জলের নিচে প্রচন্ড ক্ষ্যাপাটে স্রোতের কারণে কেউ আসতে চায় না । ওখানে সমুদ্রের তলায় আছে এক পিরামিড আকৃতির বিশালকায় পাথর। যেটি উচ্চতায় প্রায় ৫০০ ফুট এবং ১৩০ ফুট চওড়া। হ্যামার হেড হাঙ্গরেরা অবিরাম ঘোরাফেরা করে রহস্যময় পাথরটিকে ঘিরে। একটা অতিকায় পাথরের ব্লক কেটে কোনও এক সময়ে তৈরি করা হয়েছিল এই সামুদ্রিক পিরামিড। কিন্তু কারা তৈরি করেছিল, কেন এবং কার জন্য তৈরি করেছিল এই অবিশ্বাস্য পিরামিড সেই রহস্যের কিনারা আজও হয়নি। অনেকেই মনে করে ঐ পিরামিডের ভেতর রয়েছে লুকোনো ধনসম্পদ। কিন্তু প্রবল স্রোত ও হাঙরের ভয় উপেক্ষা করে যারা ঐ অঞ্চলে গেছে ফিরে আসেনি। অকামা কয়েকবার গেছে ওদিকে। ওদের বাবা কাওকুরা কয়েকবার নাকি গিয়েছিল ঐ অঞ্চলে। মিশুকা ছোট ছিল, তাই বাবার বলা গল্পগুলো সব মনে নেই। কিন্তু অকামা বলেছে ঐ ইয়োনাগুনিতে বসবাস করে কিছু অদ্ভুত প্রাণী। মারমেডের মত আধা মানুষ আধা মাছ রয়েছে ঐ অঞ্চলে। দাদু বলত ঐ ইয়োনাগুনি অপদেবতাদের জায়গা। তাই ওদিকে ওদের যেতে দিত না। পাহাড়ের মাথায় ওদের ছোট্ট কুঁড়েঘর থেকে দক্ষিণে তাকালে যে ডুবোপাহাড় দেখা যায় তার থেকে কয়েক ক্রোশ গেলেই ইয়োনাগুনি। মিশুকা যদিও যায়নি ওদিকে তবু কী এক অদ্ভুত আকর্ষণ অনুভব করে ও ঐ দ্বীপের প্রতি। 

সকালে দুর্যোগ কেটে নতুন সূর্য উঠতেই মিশুকা ছুটে যায় সমুদ্রের তীরে। যতদূর চোখ যায় চেয়ে দেখে, অকামার আশায় বসে থাকে একটা পাথরে। সামুদ্রিক পাখি ও চিলগুলো ডুবোপাহাড়টার উপর ভিড় করেছে। নিশ্চয়ই কোনো জলজ প্রাণীর দেহ রয়েছে ওধারে। মনটা কেমন কু ডাক ডাকে। কিছু মরে আটকে আছে, তাই ওরা গোল হয়ে উড়ছে। পাড় থেকে সাঁতরে ওই জায়গায় বহুবার গেছে মিশুকা। হঠাৎ মনে হয় একবার গিয়ে দেখবে !!

ডুবোপাহাড়ের যে অংশটা জেগে রয়েছে তাতে অসংখ‍্য ছোট বড় গুহা, আর আগাছা, আর লতাপাতা ভর্তি। জোয়ারের জল ঢুকে রয়েছে গুহার ভেতরে। অনেক সময় হাঙর এসে আটকে থাকে। একটানা অনেকটা সাঁতরে এসে মিশুকা একটা বড় পাথরে বসে বড় করে শ্বাস নেয়। একটা শুকনো গাছের ডাল খুঁজে নিয়ে ও পাথরের খাঁঁজে পা রেখে ওধারে যায়। যা ভেবেছিল তাই। একটা কিছু আটকে রয়েছে পাথরের খাঁজে। কিন্তু সামনে গিয়ে অবাক
 হয়ে তাকিয়ে থাকে মিশুকা। মানুষ বা মারমেড নয়, এ এক আজব প্রাণী! মুখটা মানুষের বাচ্চার মত হলেও সারা গায়ে আঁশের মত কী যেন, আর হাত পা গুলো কেমন অদ্ভুত! আর কপালের মাঝখানে একটা নীলচে আলো জ্বলছে দপদপ করে। তবে কি এটা কোনো রোবট? আগে যখন মিশুকা স্কুলে যেত ওর বিজ্ঞান বইতে রোবটের ছবি ছিল। কিন্তু এ তো তেমন নয়! আর শ্বাস নিচ্ছে প্রাণীটা। পাখি গুলো ওর উপরেই উড়ছে কিন্তু নেমে  আসছে না। 

মিশুকা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়। প্রাণীটাকে বাঁচাতে হবে। ওর বয়স মনে হয় কম, মুখটা শিশুসুলভ। ওকে টেনে পাশের একটা গুহায় নিয়ে আসে মিশুকা। দাদু ওদের বিভিন্ন লতাপাতা চিনিয়ে দিয়েছিল। পাথরের খাঁজে এক ধরনের ছোট পাত রস কেটে গেলে লাগালে খুব উপকারী, রক্ত বন্ধ হয়। আবার খাওয়ালে দ্রুত জ্ঞান ফেরে। ডুবোপাহাড়ের উত্তরে এমন কিছু লতা গাছ আছে মিশুকা জানে। দ্রুত সেগুলো খুঁজে আনে সে। বেশ কিছুটা পাতার রস বার করে খাইয়ে দেয় প্রাণীটাকে। তারপর একটু দূরে বসে লক্ষ‍্য রাখে। সারাদিন খাওয়াদাওয়া নেই, অকামার কথাও ভুলে গিয়ে এই আজব প্রাণীর সেবায় ব‍্যস্ত থাকে মিশুকা। দুপুরের পর তেষ্টায় গলা শুকিয়ে আসে। বিকেলে ও যখন বাড়ি ফিরে আসবে কিনা ভাবছিল বহু দূরে কালো বিন্দুটা নজরে পড়ে। একটা বড় পাথরে উঠে দাঁড়িয়ে মিশুকা বোঝার চেষ্টা করে ওটা কী। একটু কাছে আসতেই তিন রঙের পালটা দেখে অকামার নৌকাটা ও চিনতে পারে। আনন্দে গলার স্কার্ফটা খুলে ও নাড়তে থাকে। একটু পরেই অকামার নৌকাটা দেখা যায়। একটা পাথরে নৌকা বেঁধে লাফিয়ে নামে অকামা। বলে, ''এখানে কী করছিস তুই? বলেছি না এদিকে একা আসবি না। তোর কিছু হয়ে গেলে ...''
''আমি ঠিক আছি। আয় তোকে একটা জিনিস দেখাই।'' 
অকামার কথার মাঝেই ওর হাত ধরে টেনে ওকে গুহার কাছে নিয়ে যায় মিশুকা।
প্রাণীটা দেখে অবাক হয় অকামা। বলে, ''একে কোথায় পেলি?''
''এই পাথরের খাঁজে আটকে ছিল। এটা কী রে?''
''ঠিক জানি না, তবে এদের আমি দু একবার দেখেছি ওদিকে। অন্ধকার নামার আগে ওকে বাড়ি নিয়ে যেতে হবে। জোয়ার আসলে এই গুহা ডুবে যাবে। জোয়ারের জল আসছে। তুই একটু ধর ওদিকটা।''

দুই ভাই বোন মিলে ওকে বাড়ি নিয়ে আসে তাড়াতাড়ি। প্রাণীটা নড়াচড়া করলেও চোখ মেলেনি। রাতে অকামা মিশুকাকে বলে -''ওকে ছেড়ে এলে হাঙর বা তিমির পেটে যেত। কিন্তু নিয়ে এসেও কিছুই বুঝতে পারছি না। বাঁচবে তো?''

চুপ করে মিশুকা অতিথিকে ওষুধ খাওয়ায়। সারা রাত দু'জন পালা করে জেগে থাকে।
ভোররাতে চোখ খোলে ওদের অতিথি। ঘষটে ঘষটে উঠে বসে। তারপর অদ্ভুতভাবে ওদের দিকে তাকায়। কী যেন বলে যা ওরা বোঝেই না। অকামা বলে -''ভয় পেও না। আমরা বন্ধু, তোমার ক্ষতি হবে না। ''

প্রাণীটা সমুদ্র দেখিয়ে আবার কিছু বলে। 

''ও সমুদ্রে ফিরতে চাইছে। চল , ওকে দিয়ে আসি।''
মিশুকার কথায় প্রাণীটা মাথা নাড়ে। ওরা উঠে দাঁড়ায় আর লক্ষ‍্য করে পা থাকলেও হাঁটতে জানে না ঐ প্রাণী। মিশুকা ওর নাম দিয়েছে মারিও। বলে -''মারিও হাঁঁটতে পারে না। ও জলে থাকে। ওকে তুলে নিয়ে যেতে হবে।"

দুই ভাই বোন ওকে নিয়ে নেমে আসে সমুদ্রের ধারে। ভোরের জোয়ারের জল কমতে শুরু করেছে, ওরা মারিওকে জলের ধারে নিয়ে যেতেই ও লাফিয়ে জলে নেমে যায়। তারপর সাঁতার কেটে এগিয়ে যায় ইয়োনাগুনির দিকে। একটু পরেই ওদিকে ভেসে ওঠে মারিও। ওদের দিকে তাকিয়ে হাত নাড়ে। তারপর ডুব দেয় জলের গভীরে। 

কিছুক্ষণ সেদিকে তাকিয়ে ফিরে আসছিল ওরা। হঠাৎ কেউ বলে -''ইয়ামেরু, ইয়ামেরু" (দয়া করে দাঁড়াও)

দু জনেই থেমে পিছন ঘোরে। মারিওর সাথে দু'জন ভেসে উঠেছে জলের উপর। এদেরও কপালের মাঝে একটা নীলচে আলো দপদপ করছে। অকামা আর মিশুকা অবাক হয় ভীষণ। এরা পুরুষ, গলার স্বর তাই বলছে। জাপানী ভাষাও জানে। প্রবল কৌতুহল নিয়ে দু ভাই বোন পারে নেমে আসে।
''আমাদের সন্তানকে রক্ষা করার জন‍্য ধন‍্যবাদ। তোমাদের বন্ধু মনে করি। '' শুদ্ধ জাপানী ভাষায় প্রথম জন বলে।
''ওস .... কিন্তু .... আপনারা...'' কী বলবে কথা হারিয়ে ফেলে অকামা।
''আমরা তোমাদের মতোই এই পৃথিবীর জীব। বহু পুরানো আমাদের সভ‍্যতা। তবে এ মুহূর্তে খুব অল্প সংখ‍্য‍ক টিকে রয়েছি পৃথিবীর বুকে।"

মিশুকা আর অকামা অবাক হতেও ভুলে গিয়েছিল। মিশুকা বলে -''মারমেড...!!''
''না ঠিক মারমেড নয়। পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের জন্ম জলেই। পরে জল থেকে কিছু প্রাণী স্থলে উঠে গেছিল। বিবর্তনের ফলে এসেছিল নানারকম বদল। আর জলের নিচেই থেকে গেছিলাম আমরা। যদিও আমরা বাতাসেও নিশ্বাস নিতে পারি। আমাদের সভ‍্যতা বিস্তার লাভ করে জলের নিচেই। হাজার হাজার বছর ধরে আমরা রয়েছি সমুদ্রের গভীরে। তবে ইদানিং মানুষদের জন‍্য আমরা ধ্বংস হচ্ছি দলে দলে। সমুদ্র দূষণ, সমুদ্রে বাহনের অত‍্যাচার, মানুষের অতিরিক্ত কৌতূহল আমাদের হয়তো আর টিকতে দেবে না। এই অঞ্চলে আমরা আর সাত জন রয়েছি। সারা পৃথিবীতে একশো জন মত। তার মধ‍্যে এগারোটা শিশু। তাই আমাদের সন্তানকে বাঁচিয়ে তোমরা আমাদের রক্ষা করেছো। "

''ইয়োনাগুনি মনুমেন্ট কি তোমাদের সৃষ্টি ? ওখানেই থাকো তোমরা ?'' অকামা জিজ্ঞেস করে।
''দশ হাজার বছর আগে ইয়োনাগুনি ছিল আমাদের রাজধানী শহর। তখন পৃথিবীর উপর এত ঘন জনবসতি ছিল না। মানুষ এত উন্নত ছিল না। অথচ আমরা সে সময় অনেক উন্নত ছিলাম। কিন্তু লোভ লালসা আমাদের ভেতরেও ছিল। তাতেই সভ‍্যতা ধ্বংস হয়েছিল ধীরে ধীরে। আমরা যখন তা বুঝেছিলাম ততক্ষণে বহু দেরি হয়ে গেছে। আমাদের মধ‍্যেও কিছু গোষ্ট্ঠী স্থলে চলে গেছিল একসময়। বিবর্তনের নিয়ম মেনে তারাও সভ‍্য হয়েছে একসময়। আর অল্প কিছু এখন রয়েছি গভীর সমুদ্রে। আমাদের পাহারা দেয় হাঙর তিমি ও অন‍্যান‍্য জলজ প্রাণীরা। তবে তোমাদের ভাষাটা আমরাও জানি।''


মিশুকার মনে হয় ও স্বপ্ন দেখছে। একটা জলের জীব ওদের ভাষায় কথা বলছে। 


''আমাদের বিজ্ঞান প্রযুক্তি কিছু কম উন্নত ছিল না, তবুও আমরা আস্তে আস্তে ধ্বংস হচ্ছি। মানুষ যদি সাবধান না হয় এই সভ‍্যতাও শেষ হয়ে যাবে।
তবে তোমরা ভালো এবং সৎ। তাই তোমাদের উপহার দিতে চাই কিছু।'' 


দ্বিতীয় জন একটা বড় ঝিনুক ওদের দিকে বাড়িয়ে দেয়। অকামা হাতে নিয়ে ঝিনুকটা খোলে, বড় বড় মুক্তার দানা রয়েছে ভেতরে, কোনটা সবজে, কোনটা গোলাপি আবার কোনটা আকাশী। নানা রঙের মুক্তা।
অকামা একবার হাত বুলিয়ে মিষ্টি হেসে ঝিনুকটা ফেরত দেয় ওদের। বলে -''আমি এটা নিতে পারবো না। এ যদি আমি শহরে বিক্রি করি হাজার হাজার লোক এই সমুদ্রে ছুটে আসবে এমন রঙিন মুক্তার সন্ধানে। তোমরা বিপন্ন হবে। এর চেয়ে তোমাদের বন্ধুত্ব আমার কাছে দামি। " 


মিশুকাও দাদাকে সমর্থন করে। 


অকামা বলে -''আমি আর আমার বোন ঐ টিলার উপর থাকি। অল্প মাছ ধরেই দিন কাটে। চাহিদা বেশি না আমাদের। ''
প্রাণী দুজন খুশি হয়। প্রথম জন বলে -''সমুদ্রে বিপদে পড়লে আমাদের ডেকো। আমরাও সাহায‍্য করবো। আমরা ট‍েলিপ্যাথি জানি। যখন আমাদের কথা ভাববে আমরা টের পাবো।''


ঝুপ করে জলে ডুব দেয় অচেনা বন্ধুরা। বেশ কিছুটা দূরে একবার ভেসে উঠে ওদের হাত নাড়ে। 


দুই ভাই বোন খুশি মনে বাড়ি ফেরে। ওরা এই দ্বীপে আর একা নয়। ভালো বন্ধু পেয়ে ওরা খুব খুশি।


(সমাপ্ত) 

অলঙ্করণ : আবির

No comments:

Post a Comment