গল্পের ঝুলি : রিম্পির ছুটি : অনন্যা দাশ



রিম্পি আর রনি গরমের ছুটিতে মা-বাবা, দাদু-দিদার সঙ্গে সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে এসে ভারি খুশি। ওরা যে হোটেলটায় রয়েছে সেটা লোকালয় থেকে বেশ কিছুটা দূরে। এদিকটায় ভিড়ভাড় দোকানপাট একেবারে নেই, শুধু কয়েকটা খড়ের চাল দেওয়া ছোট চায়ের দোকানটোকান ছাড়া। জোয়ারের সময় সমুদ্রটা এগিয়ে একেবারে হোটেলের গেট পর্যন্ত চলে আসে আর ভাটার সময় নেমে গিয়ে অনেকটা বালির এলাকা বেরিয়ে পড়ে। বালিগুলো ভেজা বলে হাঁটতেও খুব সুবিধা হয়, অন্য জায়গার মতন জুতো চটিতে ঢুকে যায় না। এছাড়া বালিতে কত ছোট ছোট লাল কাঁকড়া। তাদের কাছে যেতে গেলেই অবশ্য তারা তরতর করে পালিয়ে যে যার গর্তে ঢুকে পড়ে, আর তাদের টিকিও দেখা যায় না। আগের দিনই ওরা এসে পৌঁছেছে কিন্তু এরমধ্যেই বিকেলে ওদের সূর্যাস্ত দেখা হয়ে গেছে। কী সুন্দর রঙ! ওরা দুজনেই জলে নামবে বলে লাফাচ্ছিল কিন্তু মা বললেন, “না, আজকে না, এখুনি অন্ধকার হয়ে যাবে। কাল সকালে জলে নেমো।”

খুব ভোরেই ঘুম থেকে উঠে পড়ল ওরা দু’জন। দাদু ছাড়া আর কেউ তখন ওঠেনি। দাদু ওদের চুপি চুপি বললেন, “চলো সবাই ওঠার আগেই আমরা চট করে একবার সমুদ্রটাকে দেখে আসি। পরে সবাই উঠলে ব্রেকফাস্টের পর আবার গিয়ে স্নান করা যাবে।”

রিম্পি আর রনি তো সঙ্গে সঙ্গে রাজি। আর সমুদ্র দেখতে যাওয়া তো কঠিন কিছু না, হোটেলের গেট থেকে বেরলেই সমুদ্র। গেট থেকে বেরিয়ে একটু হাঁটতেই একটা ছোট চায়ের দোকান।

দোকানের লোকটা দাদুকে বলল, “চা খাবেন নাকি বাবু?”

দাদু তখন রিম্পি আর রনিকে বললেন, “আমার তো খুব চা তেষ্টা পেয়েছে তাই আমি একটু চা খেয়ে নিই। তোমরা এখানেই খেলো, দূরে যেও না। চা খাওয়া হয়ে গেলে আবার একটু হাঁটতে যাব না হয়।”

দাদু দোকানের সামনে একটা প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে পড়লেন। রিম্পি আর রনি ছুটে গেল সমুদ্রের ঢেউ ছুঁতে। রিম্পি বলল, “আমি কয়েকটা ঝিনুক কুড়োবো। ফিরে গিয়ে সবাইকে একটা একটা করে দেবো নাম লিখে লিখে, তাহলে সবাই খুব খুশি হবে।” বলে সে ঝিনুক কুড়োতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। রনিও ছুটে ছুটে ওর সাহায্য করতে লাগল। তবে রিম্পির কত রকম নিয়ম! ভাঙ্গা হলে চলবে না, গোটা হতে হবে, দেখতে সুন্দর হতে হবে! রনি একটু বিরক্তই হচ্ছিল অত বাছাবাছিতে। হঠাৎ ওর চোখে পড়ল বোতলটা। একটু বড়ো সাইজের বোতল কিন্তু মুখটা সরু। বোতলটার ভিতরে আবার কী যেন একটা রয়েছে! জলের সঙ্গে ভেসে এসেছে মনে হয়। একটু কাছে থেকে দেখতে গিয়ে ঢেউ এসে পা ভিজয়ে দিল রনির কিন্তু ততক্ষণে সে বোতলটাকে তুলে ফেলেছে। বোতলটার ভিতরে বন্দি হয়ে রয়েছে একটা সুন্দর মাছ। কী সুন্দর রঙ মাছটার গায়ে কিন্তু খাবি খাচ্ছে মাছটা।


“দিদি দেখ!” বলে চেঁচিয়ে উঠল রনি। রিম্পি ওর কথা শুনে গিয়ে দেখল। ওমা সত্যিই তো!


“আহারে ওই সরু মুখ দিয়ে ঢুকে গেছে ভিতরে কিন্তু আর বেরতে পারছে না। বোতলে বেশি জলও নেই সব বেরিয়ে গেছে!”


ওরা দুজনে চট করে বোতলটাকে সমুদ্রর জল দিয়ে ভরে ফেলল তারপর সাগরের জনের মধ্যে গিয়ে ধরতেই মাছটা বেরোবার জন্যে ছটফট করতে লাগল কিন্তু সরু মুখ দিয়ে বেরতেই পারছিল না। শেষে রিম্পি একবার খপ করে লেজটা ধরে এক টান দিতেই অমনি সুড়ুৎ করে পুরো মাছটা বোতল থেকে বেরিয়ে গেল। সমুদ্রের জলে পড়েই সাঁতরে চলে গেল মাছটা। তাই না দেখে দুজনের সে কী আনন্দ!

রনি বলল, “বাবার ক্যামেরাটা সঙ্গে থাকলে দারুণ ছবি হত। সবাইকে দেখাতে পারতাম।”

রিম্পি মাথা নাড়ল, “না, ক্যামেরা আনতে গেলে খুব দেরি হয়ে যেত, ততক্ষণে হয়তো মাছটা মরেই যেত! যাই হোক বোতলটা সঙ্গে করে নিয়ে চল, ওটা ওই চায়ের দোকানের ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হবে। সমুদ্রের জলে ভেসে গেলে আবার কোন বেচারা মাছ আটকে যাবে ওটাতে।”

দাদুর চা খাওয়া হয়ে গেছে। দাদুকে মাছের কথাটা বলল ওরা। দাদু তো শুনে খুব খুশি। হাঁটতে হাঁটতে কিছুদূর গিয়ে ওরা দেখল একটা লোক আর তার বউ মিলে বালিতে চৌকো একটা গর্ত খুঁড়ে তাতে সমুদ্র থেকে জল এনে ভরেছে। সেই জলে কিলবিল করছে অসংখ্য ছোট বড়ো মাছ। ওরা দুজনে জলে কী সব খুঁজছে।

ওরা দাঁড়িয়ে পড়ল। দাদু ওদের জিজ্ঞেস করলেন, “কী করছ গো তোমরা?”

লোকটা বলল, “বাবু আমরা গরিব মানুষ। সমুদ্র থেকে জল এনে তার মধ্যে চিংড়ির চারা খুঁজি। তারপর যারা মাছ চাষ করে তাদের বিক্রি করে কিছু পয়সা পাই।”

দাদু বললেন, “পেয়েছ নাকি চিংড়ির চারা?”

লোকটা পাশে রাখা একটা হাঁড়ির দিকে আঙ্গুল দিয়ে দেখালো। সেটার মধ্যে একদম সরু পিনপিনে কী সব সাঁতরে বেড়াচ্ছে দেখা গেল। রনি তো হেসেই খুন, বলে, “এগুলো বুঝি চিংড়ি!”

রিম্পির মাথায়ে অন্য চিন্তা, সে বলল, “আর বাকি মাছগুলো? ওদের ওই বালির মধ্যে ছোট চৌবাচ্চায় বেশ কয়েকটা সুন্দর মাছ রয়েছে ওরা দেখতে পাচ্ছিল তার মধ্যে একটা মাছ বেশ কিছুটা বড়ো, খুব সুন্দর দেখতে, গা'টা অর্ধেকটা রূপালি আর অর্ধেকটা হলুদ। এ ছাড়াও অনেক মাছ।

“ওগুলো তো আর কেউ খায় না। ওগুলো এখানেই থেকে মরে যাবে।”

“মানে? ওরা এখানেই মরে যাবে? দাদু প্লিজ ওদের বাঁচাতে হবে! তুমি কিছু একটা করো!” রিম্পি আর রনি পীড়াপীড়ি শুরু করে দিল।

দাদু লোকটাকে মাছগুলোর জন্যে কিছু টাকা দিতে ওরা রাজি হল। ওদের কাছ থেকেই একটা খালি পাত্র নিয়ে তাতে জলের মাছগুলোকে তুলে আবার সমুদ্রে ছেড়ে দিয়ে এল ওরা।

দেরি হয়ে যাচ্ছে, জলখাবারের সময় হয়ে গেল দেখে ওরা তিনজন হোটেলে ফিরে গেল। এর পর সারাদিন হই হই করে সমুদ্রে স্নান করে, খেয়ে দেয়ে মজা করেই কাটল।

ঘুমিয়ে পড়েছিল রিম্পি, হঠাৎ মাঝরাতে ওর ঘুমটা ভেঙ্গে গেল। ও আর রনি একটা খাটে শুয়েছিল। পাশের আরেকটা খাটে দাদু দিদা অঘোরে ঘুমোচ্ছেন। রিম্পি দেখল ওদের খাটের পাশে একটা ওর বয়সী মেয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ভীষণ চমকে ভয়ে চেঁচাতে যাচ্ছিল সে তখনই মেয়েটা বলে উঠল, “ভয় পেও না, আমি তোমাদের কোন ক্ষতি করতে আসিনি। তোমরা আমাদের প্রাণ বাঁচিয়েছো আজকে, আমার আর আমার ভাইয়ের, আমি কী তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারি?”

রিম্পি তো অবাক, বলল, “প্রাণ বাঁচিয়েছি? কোথায়? কখন?”

“ওই যে সকালে আমি বোতলে আটকে গিয়েছিলাম তখন, আবার কখন! আর আমার ভাই ওই চিংড়িচারা খোঁজা লোকেদের খপ্পরে পড়ে মরতে বসেছিল, তাকেও বাঁচিয়েছ তোমরা!”

রিম্পির মুখ হাঁ হয়ে গেল। মেয়েটা বলে কী! সে নাকি মাছ!

মেয়েটা এবার বলল, “চলো তোমাকে একটা জিনিস দেখাতে নিয়ে যাই। এসো আমার সঙ্গে!”

“রনিকে ডাকব?”

“না থাক! ও ছোট, ঘুম থেকে তুললে যদি কান্নাকাটি জুড়ে দেয় তাহলে সব ভন্ডুল হয়ে যাবে! তুমি চলো আমার সঙ্গে। সকাল হওয়ার আগেই আমরা ফিরে আসব।”

রিম্পি আর কথা না বাড়িয়ে মেয়েটার সঙ্গে ওর পিছন পিছন চলল। সমুদ্রের ধারে এসে মেয়েটা ‘এই নাও’ বলে ওর নাকে কী একটা এঁটে দিয়ে বলল, “এটা দিয়ে তুমি জলের মধ্যে নিশ্বাস নিতে পারবে!”

রিম্পি বলল, “কিন্তু আমি জলে নামব কীভাবে? আমি তো সাঁতার জানি না! মানে সবে ভাসতে শিখেছি এখন!”

মেয়েটা খিলখিল করে হেসে বলল, “কিছু হবে না। চলো না আমার সঙ্গে!” বলে রিম্পির হাত ধরে একেবারে জলের মধ্যে নিয়ে গেল ওকে।

ওমা রিম্পি অবাক হয়ে দেখল সে দিব্যি সাঁ সাঁ করে জলের মধ্যে দিয়ে চলেছে মেয়েটার হাত ধরে, কোন অসুবিধা হচ্ছে না ওর! জলের নীচের জগৎটা কী সুন্দর! ঝাঁকে ঝাঁকে রঙিন মাছ আর রঙিন গাছ গাছালি সব। সব কিছু অদ্ভুত একটা মায়াবী আলোতে ঝলমল করছে যেন। মেয়েটার দিকে তাকাতে আরো চমকে উঠতে হল রিম্পিকে। মেয়েটার শরীরের অর্ধেকটা মাছ হয়ে গেছে! ও তার মানে মৎস্যকন্যা!

বেশ জোরেই যাচ্ছিল ওরা। হঠাৎ একটা কিম্ভুত দেখতে মাছ মেয়েটাকে দেখতে পেয়ে ওর কাছে এসে বলল, “দেখ না আমার গলায় কী ব্যথা, কিছুই খেতে পারছি না! কী যে হয়েছে!”

মেয়েটা বলল, “দেখি মুখটা হাঁ করো তো।”

মাছটা মুখটা হাঁ করতে রিম্পি দেখল ওর মুখে সাদা মতন কী একটা আটকে রয়েছে।

মেয়েটা এবার হাত ঢুলিয়ে সেটা বার করে দিল। রিম্পি অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখল সেটা একটা বোতলের ছিপি!

মেয়েটার হাত থেকে সেটা নিয়ে রিম্পি বলল, “ওটা আমাকে দাও, আমি পকেটে রেখে দিদি। হোটেলে ফিরে গিয়ে ঠিক জায়গায়ে ফেলে দেব। এখানে থাকলে আবার অন্য কারো গলায় আটকে যাবে!”

মেয়েটা দুঃখী মুখে বলল, “সেটাই দেখাতে এনেছি তোমাকে! তোমরা যে সব নোংরা আবর্জনাগুলো ফেলো সেগুলো আমরা তো আর বুঝতে পারি না। আমরা বোকার মতন সেগুলো খেতে যাই আর সেগুলো আমাদের গলায় মুখে আটকে বেঘোরে প্রাণ দিতে হয় আমাদের!”

রিম্পির খুব খারাপ লাগল কিন্তু কী বলবে বুঝতে পারল না সে। সত্যি তো লোকে কত কিছু ফেলে সমুদ্রে বা সমুদ্রের সৈকতে।

কিছু দূর গিয়ে বেশ কয়েকটা মাছ নেতিয়ে পড়েছিল। তাদের গায়ে কালচে ছোপ।

“ওদের আবার কী হয়েছে?”

“কী আবার হবে? তোমাদের ওখানকার কোন এক জাহাজের থেকে তেল বেরিয়েছে। সেই তেল ওদের গায়ে লেগে ওদের প্রাণ যাওয়ার জোগাড়! এত চিটচিটে আর ভারী যে বেচারারা ঠিক মতন সাঁতারও কাটতে পারছে না। আমরা রোজ ঘষে ঘষে একটু একটু করে তোলার চেষ্টা করি, কিন্তু অনেক সময় লেগে যায়। যাই হোক তোমাকে যা দেখাতে আনলাম সেটা দেখো!”

রিম্পি তাকিয়ে দেখল। ওমা প্লাস্টিকের বোতল আর প্লাস্টিকের জিনিসের একটা পাহাড়! চারিদিক থেকে মাছেরা ওই সব নিয়ে এসে এসে ওখানে জড়ো করছে।

“যারা একটু চালাক তারা বুঝতে পারে ওগুলো খাবার জিনিস নয় তাই তুলে নিয়ে এসে এখানে ফেলে। তুমি তোমার চেনা লোকজনদের একটু বলবে সমুদ্রের জলে আর তীরে ওই সব না ফেলতে? আমরা শুধুশুধু মরে যাচ্ছি!”

“আরো দেখো!”

রিম্পি দেখল এক জায়গায় রাশি রাশি লাল কাঁকড়াদের মৃতদেহ।

“ওমা এদের আবার কী হয়েছিল?” রিম্পি জিজ্ঞেস করল।

“কী আবার হবে! সমুদ্রসৈকতের ওপর দিয়ে হুশ হাশ করে গাড়ি চালিয়ে ওদের পিষে মেরে ফেলেছে লোকেরা! ওরা তো সব বালিতেই থাকে তাই চাপে মরে যায়!”

আরও অনেক কিছু দেখাল মেয়েটা রিম্পিকে। জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে কত অসংখ্য মাছ আহত, তাদের কারো ডানা কেটে গেছে, কারো গায়ে চোট। খুব কষ্ট হচ্ছিল রিম্পির ওদের দেখে।

তারপর এক সময় মেয়েটা বলল, “চল এবার তোমাকে জলের ওপরে দিয়ে আসি। একটু পরেই সকাল হয়ে যাবে।”

মেয়েটার পিছন পিছন রিম্পি হোটেলের ঘরে গিয়ে পৌঁছল।

এর পর যখন ওর ঘুম ভাঙ্গল তখন অনেক বাজে। মা ব্রেকফাস্ট করতে যাওয়ার জন্যে ডাকছেন।

রাতের ঘটনাটা কাউকে বলেনি রিম্পি, এমনকি মা-বাবা বা রনিকেও না। সে জানে কেউ বিশ্বাস করবে না। স্বপ্ন দেখছিল বলে হাসবে। কিন্তু রিম্পি জানে সে যা দেখেছিল সব সত্যি কারণ মাছের মুখে আটকে যাওয়া বোতলের ছিপিটা ওর পকেটেই ছিল। ওরা হোটেলে যে সব বোতল থেকে জল খাচ্ছে সেগুলোর ছিপিগুলো নীল বা সবুজ আর এই ছিপিটা সাদা তাই ভুল করে জল খেয়ে সেই ছিপি পকেটে ঢুকিয়েছে তাও নয়, তবে বাকি যে ক'দিন ওরা সমুদ্রের ধারে ছিল সবাইকে বলে বলে প্লাস্টিক বোতল আর আবর্জনা পরিষ্কার করিয়েছে সে। হোটেলের লোকজনকেও বলেছে অনেক বার করে। হোটেলের ম্যানেজার কথা দিয়েছেন যে তিনি খেয়াল রাখবেন।

স্কুল শুরু হতে স্কুলের ম্যাগাজিনের জন্যে ওর ছুটির ওই ক'দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা লেখা দিয়েছে রিম্পি। লেখাটা খুব ভাল লেগেছে সবার। সবাই মনে করেছে রিম্পি তার অদ্ভুত কল্পনাশক্তি দিয়ে লেখাটা লিখেছে কিন্তু সত্যিটা কী সেটা শুধু রিম্পি জানে, আর জানে সেই মৎস্যকন্যা!


(সমাপ্ত)

অলঙ্করণ : আবির


2 comments:

  1. খুব দরকারী একটা মেসেজ আছে গল্পে।

    ReplyDelete
  2. খুব সুন্দর বার্তা রয়েছে গল্পটির মধ্যে। ভাল লাগল।

    ReplyDelete