গল্পের ঝুলি : ভালোবাসার রেসিপি : শেলী ভট্টাচার্য




"মা, ম্যাডাম যে আজ বলল পরশু থেকে গরমের ছুটি পড়বে। আমাদের জিজ্ঞাসা করছিল কে কোথায় যাবে হাত তুলে বলো। আমরা কলকাতায় যাব না? তুমি ট্রলি গোছাওনি?"

স্কুল থেকে বেরোতে না বেরোতেই হিয়ার মুখে খই এর মতো ফুটতে ফুটতে হুড়মুড়িয়ে এলো প্রশ্নগুলো। হিয়ার মা প্রিয়াঙ্কা তখনও নিশ্চুপ। তার অতীত অভিজ্ঞতা আছে। মেয়েকে একবার কলকাতায় দাদান বাড়ি যাওয়ার কথা জানালেই মায়ের কানের পোকা খুলে ফেলবে সে। সারাটাদিন ধরে কিছুক্ষণ পর পর তার কুট্টি মনের বৃহৎ অধৈর্য দাপাদাপি করতে থাকবে ''কবে যাব? কখন ট্রেন? আমার কী কী খেলনা ব্যাগে নিলে? চিপস চকলেট নিয়েছো তো?'' ইত্যাদি ইত্যাদি। ওদিকে প্রিয়াঙ্কার মা বাবাও নাতনির সাথে দেখা হওয়ার অপেক্ষায় এতোটা উত্তেজিত থাকে যে তাদের ফোনে নাতনির সাথে কথা হলেই ফাঁস করে দেয় কলকাতা আসার ব্যাপারখানা। প্রিয়াঙ্কা তাই একয়দিন ফোনটির উপর নজর রাখছে। দুদিকের আবেগজাত যোগাযোগকে কন্ট্রোলে রাখার প্রয়াস করছে। সে জানে ব্যাপারখানা ফাঁস হলেই ওদিকে দুই দ্বিতীয় শৈশবকাল প্রাপ্ত মানুষ আর এদিকে আরেক জন শিশুর অধৈর্য প্রশ্নগুলো তাকেই সামলাতে হবে। তাই হিয়া স্কুলে ছিল যখন, তখন একা ঘরে চুপিচুপি ট্রলিটাকে গুছিয়ে ঢেকেঢুকে খাটের নিচে মেয়ের চোখের আড়ালে রেখে দিয়েছে। এবার লুকোচুরি খেলা শেষ হয়ে গেছে। ম্যাডামই ক্লাসে হিয়াকে বলে দিয়েছেন। তাই প্রিয়াঙ্কা মেয়েকে শান্তভাবে জিজ্ঞেস করল "তুই হাত তুলিসনি?"

"কীকরে তুলব? তুমি তো বলোনি আমায় ..." হিয়ার স্পষ্ট অভিমানী উত্তর।

"কাল বন্ধুদের বলে দিস আমরাও এক মাসের জন্য কলকাতায় ঘুরতে যাব।"

মায়ের কথাটা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই সজোরে লাফিয়ে উঠে দুহাতে তালি দিয়ে বলে উঠল হিয়া "কী মজা! ট্রেন কখন মা? আমার খেলনা নিয়েছো? আর চিপস চকলেট ...?"

প্রিয়াঙ্কা অভ্যাসবশত দু'কানে সহনশীলতার তুলো গুঁজে হুঁ হাঁ করতে করতে চলতে লাগল ঘরের পথে।


নিউ দিল্লী থেকে ট্রেনে উঠে প্রিয়াঙ্কা সবে সিটের নিচে ট্রলিটাকে জায়গা মতো সেট করছে। অমনি মেয়ে শুরু করে দিয়েছে "মা, কতোক্ষণে পৌঁছাবো?" প্রিয়াঙ্কা জানে মেয়ে মানসিকভাবে খুব চঞ্চল হওয়ার কারণে ওর মেমরিও ফ্লাকচুয়েট করে। তাছাড়া এই পাঁচ বছর বয়সে কতটুকুই বা স্মৃতির ভিত গড়ে ওঠে। এখন তো ঘন্টায় ঘন্টায় এতো অঘটন এদের যে মনে রাখার লিস্টিও বেশ লম্বা চওড়া হয়। তার জন্য প্রতিবছরই শীত আর গরমের ছুটি উপলক্ষে বছরে দুবার করে কলকাতা গেলেও হিয়া আবার ভুলে যায় সময়ের সিডিউলগুলো। অত:পর মেয়েকে নিয়ে সাইড বার্থে বসে ব্যাগ থেকে একটা খেলনা বের করে ওর হাতে দেয় প্রিয়াঙ্কা। তারপর ট্রেনের গতির সাথে চলতে থাকে মা মেয়ের খেলার ঠোঙায় মোড়ানো মুচমুচে গল্পগুলো।


পরেরদিন সকালে ট্রেনটা শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছানোর সাথে সাথেই হিয়ার দাদানের সাথে দেখা হয়। ব্যস, প্রিয়াঙ্কার এবার কানের শান্তি। এবার কাটুসকুটুস কথা দিয়ে সে এ কয়দিন দাদানের কানের পোকাগুলোকে ঝেড়েপুঁছে সাফ করে দেবে। তারপর দাদানবাড়িতে ঢোকার রাস্তাটা থেকে দিদুন বলে বাড়িতে ডাকাত পড়ার উত্তেজনাসম স্বরে চিল্লাতে থাকবে। তাতে হিয়ার দিদুনের সাথে সারা পাড়াতে সাড়া ফেলে যাবে ওর উত্তেজক কণ্ঠস্বরটি। দিদুন আর দাদান তো তখন হিয়ার চেয়েও বেশ কয়েকবছরের ছোটো হয়ে যায়। জার্নির জামাকাপড় না ছেড়েই তিনটে অসমবয়সী মাথা গোল করে বসে পড়ে এই একমাসের মজা করার কর্মসূচিগুলোকে গড়ে তুলতে। সে দৃশ্য দেখে প্রিয়াঙ্কাও অনুভব করতে পারে যে, হিয়ার কেন গরম আর শীতের ছুটির জন্য এতো অপেক্ষার প্রশ্ন আর এতো কৌতুহলজাত উত্তেজনা থাকে। হৃদয়ের কাছের মানুষগুলোকে এই আনন্দটার হাপুৎহুপুৎ সুখে ডুবে যেতে দেখে প্রিয়াঙ্কার গলা গুনগুনিয়ে ওঠে অবচেতনেই ...

'আমাদের ছুটি ছুটি চল নেব লুটি ...'


এমনিতে দিল্লীতে থাকলে প্রতিটা দিন সকালে হিয়াকে ঘুম থেকে ওঠাতে একপ্রকার যুদ্ধ করতে হয় প্রিয়াঙ্কার। কিন্তু কলকাতায় এলে তা উলটো হয়ে যায়। প্রিয়াঙ্কার আগেই হিয়া দিদুনের সাথে ভোরে উঠে পড়ে। তারপর দাদান আর দিদুনের সাথে সুগারের জন্য মর্নিং ওয়াক, স্পণ্ডিলাইটিসের ব্যায়াম, সুস্থ থাকার জন্য প্রাণায়াম ... সব নিখুঁতভাবে সাধ্যমতো কপি পেস্ট করতে থাকে হিয়া। পাছে এগুলো না করলে সে দাদান দিদুনের থেকে পিছিয়ে যায়, তার অক্ষমতাকে কেউ ক্ষুদ্র বলে অবজ্ঞা করে! তা হতে পারে না। ওকে যেন তেন প্রকারেণ ওদের সমকক্ষ হতেই হবে। ও দেখেছে, ওরা ভুল করলে মা ওদের সেভাবে বকে না, বরং ধীরেসুস্থে বোঝায়। ও ছোটো বলেই কথায় কথায় ওর মা ওকে বলে ওঠে 'পিঠের চামড়া তুলে দেব।' ও ছোট্ট মুখে কথাটা আওড়াতে আওড়াতে দিদুনের কাছে গিয়ে নালিশ করে তখন। সে কথার সুর শুনলে প্রিয়াঙ্কাই মুখ চেপে হেসে ফেলে। কিন্তু হিয়া এটাও বোঝে যে এখানে মা ওকে বকলে, তার বিরুদ্ধে নালিশ করার জায়গা আছে। জাজমেন্ট পাওয়ার একটা সুযোগও আছে, যেটা দিল্লীতে হয় না। এদিকে প্রিয়াঙ্কা মেয়ের সকালের এক্সারসাইজ দেখে বলে ওঠে "তোর তো সারাদিনই মুখ সহ শরীরের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নড়তে থাকে। আবার এসব করে ক্যালোরি খসাচ্ছিস কেন?"

প্রিয়াঙ্কার বাবা গম্ভীর গলায় বলে তখন "প্রিকোশন ইজ বেটার দ্যান কিওর।"

হিয়া দাদানের এতো ভারী কথার অর্থ না বুঝলেও, এটা অনুভব করে যে দাদান তার পক্ষ হয়েই মাকে উত্তর দিচ্ছে।


এরকমই একদিন, হিয়া তার দিদুনের সাথে ছাদে টবের গাছে জল দিচ্ছিল। হিয়ার দাদানবাড়িতে এমনিতে ফলের গাছ ভর্তি। আম, পেয়ারা, কাঁঠাল, নারকেল, আতা, কলা সব গাছ আছে। তাও ছাদে আরেকটা ফুলের বাগান আছে। প্রিয়াঙ্কাই বিয়ের আগে সখে করেছিল এই বাগান। এখন সে বাগানের যত্ন নেয় প্রিয়াঙ্কার মা। হিয়া তার দিদানকে বলতে থাকে "জানো দিদান, আমি জ্যাম ব্রেড স্কুলে নিয়ে গেলে আমার বন্ধুরা বলে ইস তুই রঙ দেওয়া জিনিস খাচ্ছিস। সত্যি কি ফ্রুট জ্যামে রঙ দেয়?"

"না না, ফলের রসে অমন কালার আসে। তবে বাজারের জিনিস কি আর এখন খাঁটি আছে রে সোনা? সবেতেই কম বেশি ভেজাল।" দিদুনের উত্তর।

"ভেজাল আবার কোন খাবারের নাম? আর খাঁটিই বা কি?" সরল প্রশ্ন হিয়ার।

হিয়াকে টেনে নিয়ে কোলে বসিয়ে হেসে উত্তর দেয় হিয়ার দিদুন "এই যেমন আমাদের তুমি ভালোবাসো, আর আমরা তোমায় ভালোবাসি ... সেটা কি আর ঘরের বাইরের লোকের মতো হয়? নাকি জোর করে এমন টান অনুভব করানো যায়?"

সজোরে দুদিকে মাথা নাড়িয়ে উত্তর দেয় হিয়া "তা আবার হয় নাকি? তোমরা তো আমার খুব ভালো বন্ধু।" বলে চট করে কিস করে দেয় দিদুনের গালে। দিদুনও গদগদ হয়ে ওকে বোঝাতে থাকে "ঠিক তাই। এই বন্ধুত্ব গড়তে হয় ভালোবাসা দিয়ে, যত্ন করে। কিন্তু বাজার থেকে আমরা যে ফলমূল আনি, তাতে সেই স্বতঃস্ফূর্ত ভালোবাসার চেয়ে বাধ্যতামূলক ব্যাপার বেশি থাকে। ব্যবসায় লাভের জন্য সেসব গাছে বিভিন্ন ওষুধ দেওয়া হয়। যাতে ফল বেশি হলেও গাছের নিজস্ব ক্ষমতা কমে যায়। কেমিক্যালের বিষ ছড়িয়ে খাঁটি ফলের গুণ নষ্ট হয়। কোনোকিছুতে স্বার্থ ঢুকলে যে তা আর খাঁটি থাকে না। আর তাতে মানুষের সাথে গাছের বন্ধুত্বটাও খাঁটি থাকে না। তাতেই খারাপ বা ভেজালের জন্ম হয়। তাই সেই সব ফল শরীরের জন্য সম্পূর্ণ পুষ্টিকর হয় না।"


হিয়ার চোখমুখের হাবভাবে তখনও অনেক প্রশ্নের আনাগোনা। সেটা দেখে ওর দিদান বলল

"কাল একটা কাজ করব। তোর জন্য আমি একটা ভালোবাসার রেসিপি করব। সেটা তুই জ্যামের মতো ব্রেড দিয়ে খেতে পারবি। আর তা খাঁটি হবে বলে পুষ্টিকর ও সুস্বাদুও হবে।" একথা বলে নাতনিকে হাতে কলমে খাঁটি শব্দের অর্থ বোঝাতে হিয়ার দিদান প্র‍্যাকটিকালি উঠেপড়ে লেগে পড়ল। তার এই উদ্যোগের প্রথম ধাপে হিয়ার দাদান গাছ থেকে প্রায় দু'কিলো পেয়ারা পেড়ে আনল। ঘরে ফ্রিজে আরো এক কিলো মতো পাকা পেয়ারা ছিল। হিয়ার দিদান তারপর সেগুলোকে একটু একটু করে প্রেসারে সেদ্ধ করে তার থেকে রস নিঙড়াতে লাগল। হিয়া উপুড় হওয়া কৌতুহলে একনাগাড়ে বসে দেখতে লাগল দিদানের কাণ্ডকারখানাগুলো। দিদান কী করে নতুন সাদা সুতির কাপড়ের পুটলির মধ্যে সেদ্ধ পেয়ারাগুলোকে নিয়ে নিঙড়াচ্ছে। আর তার থেকে পেয়ারার গন্ধভরা রস বেরিয়ে আসছে। সব রস নেওয়ার পর সেগুলোকে ভারী পাত্রে করে পরিমাণ মতো সুগার ডাস্ট মিশিয়ে গ্যাস ওভেনের উপর বসিয়ে দিল হিয়ার দিদান। আর দাঁড়িয়ে থেকে কিছুক্ষণ পর পর নাড়তে লাগল। তারপর সেটা গাঢ় হয়ে এলে নামিয়ে ঠান্ডা করল। ব্যস তাতেই কিছুক্ষণ পর হিয়া চোখ বড় বড় করে দেখল জ্যামের মতো থকথকে গাঢ় বর্ণের একটা খাদ্য তৈরি হয়েছে। কী অসাধারণ সুবাস বেরোচ্ছে তার থেকে! হিয়ার দিদান সেটা ঠান্ডা হলে বড় কাঁচের শিশিতে ভরে হিয়ার সামনে রেখে বলল "এটা দিয়ে ব্রেড খাবি তুই। টিফিনে নিয়ে যাবি। বন্ধুদেরও দিবি। বন্ধুরা যদি জিজ্ঞেস করে এটা কী এনেছিস রঙ মেশোনো? তো বলবি এ হল গিয়ে ভালোবাসার খাঁটি রেসিপি। এক্কেবারে নির্ভেজাল।"


হিয়ার চোখে বিস্ময়। মা-ও তো খাবার বানায়, কখনো এমন নামে বলে না তো! দিদান তখন তার মুখের কাছে এক চামচ ভরা সেই গাঢ় মেরুন রঙের খাদ্যটি তুলে ধরে বলল, "দাদান সারা বছর বাগানের গাছে জল দেয়, তাদের যত্ন করে। তাই তারাও ভালোবেসে আমাদের ফল দেয়। আর আমি সেই ফলের রসের সাথে মনের ভালোবাসা মিশিয়ে তোমার ভালোলাগার জন্য এই খাদ্য বানিয়েছি। এতে না গাছের ফলে ভেজাল আছে, না রেসিপিতে। আছে শুধুই মিষ্টি মিষ্টি ভালোবাসার স্বাদ। তাই এ হল গিয়ে পুরো ভালোবাসার খাঁটি রেসিপি। তুমিও যদি গাছের যত্ন নিয়ে তাকে ভালোবাসো, তবে সেও তোমায় ভালোবাসার ফল দেবে। আর উভয়ের ভালোবাসাতেই শরীরের সাথে সাথে মনের স্বাস্থ্যও গড়ে উঠবে। তাইতো আমাদের অনেক গাছ লাগানো উচিৎ, তাদের যত্ন নেওয়া উচিৎ। কোনো ওষুধ দিয়ে তাকে বাধ্য না করে, তার সবুজাভ স্বতঃস্ফূর্তায় ভরসা রাখা উচিৎ।"

হিয়া আঙুলের ডগায় করে পেয়ারার জেলি নিয়ে জিভ দিয়ে চেখে ভুরু নাচিয়ে বলে উঠল "দিদুন তোমার ভালোবাসার খাঁটি রেসিপিটা কী দারুণ! আমিও এবার থেকে গাছ লাগাবো।"

"হ্যাঁ, দিদিভাই গাছ লাগাবি। ফুলের গাছ, ফলের গাছ সব লাগাবি। নিজের হাতে তাদের যত্ন নিবি। দেখবি সবুজ বন্ধুরা তোকে নির্ভেজাল ভালোবাসা দেবে।"


কিছুক্ষণ পর ঘরে ঢোকে প্রিয়াঙ্কা। ব্যাঙ্কের লাইনে ফেঁসে গিয়ে অনেকটা সময় পর ঘরে ফিরেছে সে। ঘরে ঢুকেই মায়ের কাছে জল খেতে চায়। আর দেখে, ওর মা ও ছোটো থাকতে যে টিফিনে দেওয়ার জন্য পেয়ারার জেলি বানাত, সেই গন্ধে ঘর ম ম করছে। মায়ের কান্ড বুঝতে অসুবিধা হল না প্রিয়াঙ্কার। সে ধমকের সুরে বলে উঠল "তোমার শরীরের হাল জানো তুমি? এখন যে এতো খেটে এতোগুলো জেলি বানালে, এবার অসুস্থ হলে কী করবে?"


"দিদান তো খেটে খাঁটি রেসিপি বানিয়েছে মা। দারুণ খেতে হয়েছে। দেখো ..." বলে এক চামচ জেলি হিয়া তুলে ধরল মায়ের মুখের সামনে।

"প্রতিবার তুই ছুটিতে আসলেই, এমন খাঁটি ভালোবাসার রেসিপিটা করে দেব আমি। তুই নিয়ে গিয়ে টিফিনে বন্ধুদের সাথে খাবি।" কথাগুলো হিয়াকে বলেই প্রিয়াঙ্কার রাগী রাগী মুখের দিকে চেয়ে, হিয়ার দিদান মুখ চেপে হেসে উঠল। আর হিয়াকে দেখিয়ে প্রিয়াঙ্কার কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে নিচু স্বরে বলল "একবার চেয়ে দেখ তো ওর খুশিটাকে। চোখেমুখে কেমন হাজার তারার মতো ঝিলিক দিচ্ছে। এই স্বতঃস্ফূর্ত সুখের আদরে শক্ত বেড়ি পেরিয়ে কোনো অসুখ আমার কাছে আসবে, এতো সাহস আছে কি?"

(সমাপ্ত)


অলঙ্করণ : শেলী ভট্টাচার্য

2 comments:

  1. আহা! ভালোবাসার রেসিপি সব বাচ্চাদের কাছে থাকলে কি ভালোই না হত...

    ReplyDelete