"ছোট্ট কথা বলব না আর"
বলল হালুম দাদা,
বিষ্টুখুড়ো চেঁচিয়ে বলে
"কেষ্ট, রাধা রাধা।"
ইস্টিমারের ভোঁ শুনে তাই
মিষ্টি খুকি হাসে,
বাপকে বলে, "হেই খোকা চল
চড়তে হবে বাসে।"
"বাসে উঠেই পৌঁছে যাবো
কনকশালীর স্কুলে,
মাস পয়লার বেতন দেবে
লজেন খাবো গুলে।"
গুলের আগে চুলের বাহার
মিতুল দিদি হাসে,
বলল, "ওরে ভর্তি হবি
সবচে’ নিচু ক্লাসে।"
"কোনটা উঁচু, কোনটা নিচু
বুঝব গিয়ে স্কুলে ,
ভাঙচি দিয়ে গোল কোরো না।
পড়াও যাব ভুলে।"
"কোনটা লেখা, কোনটা পড়া
কোনটা বুঝিস তুই?"
মিতুল দিদি বলল রেগে,
"বুঝিয়ে দেবো মুই।"
মিষ্টি খুকি বলল, "সেদিন
দিলাম হাতেখড়ি।
অর্ধেক তো শিখেই গেলাম,
আমি কি ভয় করি ?"
বাবা বলেন, "ঠিক বলেছো
মিষ্টিসোনা খুকু
লেখাপড়ায় প্রথম হবে,
চিন্তা কতটুকু!"
"এখন চলো ইস্কুলে যাই
ভর্তি হয়ে যাবে।
বই খাতা সব কিনতে হবে
স্লেট পেন্সিল পাবে।"
হালুম বলে, "মালুম হবে
আঁকলে আমার ছবি,
খড়ির আঁকা দেখেই বুঝি
কত্ত বড় কবি।"
হালুম গেল ইস্কুলে তাই
বসল গাছের ডালে,
বদনটা তার পাল্টে গেল
পড়ল যখন খালে।
অলঙ্করণ : দেবলীনা দাস
No comments:
Post a Comment